জঙ্গি ফয়েজের মন্দির নাশকতা-ভন্ডুল
শেরপুর প্রতিনিধি : জঙ্গি ফয়েজের মন্দিরে নাশকতার মিশন ভন্ডুল করে দিয়েছে পুলিশ। এওকই সময় পুলিশ জঙ্গি ফয়েজের আস্তানা থেকে উদ্ধার করেছে ১৮ কন্টেইনার রাসায়নিক দ্রব্য।পুলিশ জানায়, শেরপুরের বিভিন্ন মন্দিরে কোন জঙ্গি গোষ্ঠী নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য একটি দোকানে রাসায়নিক পদার্থ মজুত করেছিল।
রাসায়নিক উদ্ধারের পর ঘটনা ফাঁস হয়ে গেলে পলাতক আসামি ফয়েজ উদ্দিনকে শনিবার রাতে শেরপুর সদর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনার অপর আসামি দোকান মালিক মিনারা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (মিডিয়া এন্ড পিআর) সহেলী ফেরদৌস জাতিরকন্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের গোয়েন্দা শাখা এবং বগুড়া জেলা পুলিশের গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শেরপুরের নকলা উপজেলার একটি দোকানে গত বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে শেরপুর জেলা পুলিশ ১৮ কন্টেইনার বোমা তৈরির তরল রাসায়নিক পদার্থ উদ্ধার করেছে।
উদ্ধারকৃত রাসায়নিকের মধ্যে রয়েছে, নাইট্রিক এসিড ২০০ কেজি, ড্রাইক্লোরোমিথেন ও সালফিউরিক এসিড ৩৫ কেজি, ক্লোরোফর্ম ও ডাইক্লোরোমিথেন ১০০ কেজি, সালফিউরিক এসিড ও টেট্রোহাইড্রোফুরান ৬৫ কেজি, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ১৬০ কেজি এবং ক্লোরোফরম ৩৫ কেজি। সিআইডির একটি বিশেষজ্ঞ দল উদ্ধরকৃত রাসায়নিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বর্তমানে শেরপুর রয়েছে।
সহেলী ফেরদৌস জানান, কোন জঙ্গি গোষ্ঠী শেরপুরের বিভিন্ন মন্দিরে নাশকতামূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য ওই দোকানে এ রাসায়নিক পদার্থ মজুত করেছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল। পুলিশের তাৎক্ষণিক অভিযানের কারণে জঙ্গিদের বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।
জানা যায়, দোকানটির মালিক নকলা থানার মিনারা বেগম। তিনি দোকানটি একই থানার চরমধুয়া গ্রামের মোঃ ফয়েজ উদ্দিনকে ভাড়া দিয়েছিলেন।
তিনি আরো বলেন এ ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে নকলা থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশ গুরুত্বের সাথে ঘটনাটি তদন্ত করছে। ইতোমধ্যে দুই আসামি গ্রেফতার হয়েছে। অপর আসামি গ্রেফতার এবং এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্যদের আটকের চেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে।