• শনিবার , ১৬ নভেম্বর ২০২৪

জঙ্গি গডফাদার জিয়াকে ধরতে নয়া ছক টাগেটে-আনসার আল ইসলাম


প্রকাশিত: ১২:৪৮ পিএম, ২৫ আগস্ট ১৬ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১০০ বার

এস রহমান  :  জঙ্গিদের নয়া গডফাদার সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক জিয়াকে ধরতে নানা jongi gia-www.jatirkhantha.com.bdছক কষা হচ্ছে।এরই প্রক্রিযায় এবার নিষিদ্ধ করা হচ্ছে  আনসার আল ইসলাম। গোয়েন্দা সূত্র জাতিরকন্ঠকে জানায়, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে আনসার আল ইসলাম তাদের সাংগঠনিক কাঠামো তৈরি করে।

যার প্রধান সমন্বয়ক ঢাকার একটি মাদ্রাসার সুপারিন্টেন্ড ছিলেন।
এই সংগঠনের সামরিক কমান্ডার হিসেবে কাজ করছে সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউ1ল হক। এদের আধ্যাত্মিক নেতা জসিমউদ্দিন রাহমানী গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটি) প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান, নিষিদ্ধ হচ্ছে জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম। জঙ্গি হামলা ও একাধিক লেখক-ব্লগার হত্যার অভিযোগে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

মনিরুল ইসলাম জানান, আনসার আল ইসলামকে নিষিদ্ধ করতে খুব শিগগিরই পুলিশ সদর দফতরের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর একটি প্রতিবেদন পাঠানো হবে। সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলে তাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও শাস্তি দেয়ার প্রক্রিয়া সহজ হবে।

একই সঙ্গে এই সংগঠনের নেতাকর্মীদের মনোবল দুর্বল হয়ে যাবে। এছাড়া তাদের নতুন করে সদস্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া আটকানো যাবে। এদের অর্থনৈতিক সাহায্য সহযোগিতা কমে যাবে বলে তিনি মনে করেন।সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত ছয়টি সংগঠনকে জঙ্গি কার্যক্রমের অভিযোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিষিদ্ধ করে।

২০০৩ সালে শাহাদত-ই-আল হিকমা, ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ, ২০০৬ সালের ২২ জানুয়ারি জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ ( জেএমবি) ও জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ ( জেএমজেবি), ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর হিযবুত তাহরীর এবং ২০১৫ সালের ২৫ মে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নিষিদ্ধ করা হয়।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা জানান, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে আনসার আল ইসলাম তাদের সাংগঠনিক কাঠামো তৈরি করে। যার প্রধান সমন্বয়ক ঢাকার একটি মাদ্রাসার সুপারিন্টেন্ড ছিলেন। বছর তিনেক ধরে তিনি আত্মগোপনে থেকে সংগঠনটি পরিচালনা করে আসছেন।

এই সংগঠনের সামরিক কমান্ডার হিসেবে কাজ করছে সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক। এছাড়া এই সংগঠনের আরেক আধ্যাত্মিক নেতা জসিমউদ্দিন রাহমানী গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
এর আগে ২০১৫ সালের ২৫ মে পুলিশ সদর দফতরের এক সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। জঙ্গি কার্যক্রমের অভিযোগে বর্তমানে দেশে সাতটি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর আল-কায়েদা নেতা আইমান আল জাওয়াহিরি ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্ট (একিউআইএস) নামে নতুন একটি শাখার ঘোষণা করে। মূলত একিউআইএস ঘোষণার পরপরই আনসার আল ইসলামের সাংগঠনিক কাঠামো তৈরি হয়।

আনসার আল ইসলামের সাংগঠনিক কাঠামোতে প্রধান সমন্বয়কের পর তিনটি ভাগ রয়েছে। এর একটি হলো ‘দাওয়া’ বিভাগ। যাদের কাজ হলো সংগঠনে নতুন সদস্য সংগ্রহ করা। এছাড়া সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাসা ভাড়া করে দেয়াসহ বিভিন্ন রকম লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে থাকে।

অপর বিভাগটি হলো ‘আশকারি’ বিভাগ। এই বিভাগকে সামরিক বিভাগও বলা হয়ে থাকে। মূলত এই বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করেন পলাতক জিয়া। এছাড়া ‘মিডিয়া ও আইটি’ নামে আরেকটি বিভাগ রয়েছে। যাদের কাজ হলো নিজেদের মতাদর্শ প্রচার ও পারস্পরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে নানা রকম অ্যাপসসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে বাঁচার নানারকম কৌশল নিয়ে কাজ করে। জেএমজেবি), ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর হিযবুত তাহরীর এবং ২০১৫ সালের ২৫ মে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নিষিদ্ধ করা হয়।