জঙ্গি আস্তানায় উদ্যত ছোরা হাতে মেজর মুরাদের স্ত্রী পাকরাও-জঙ্গি করিম নিহত
বিশেষ প্রতিনিধি : এবার জঙ্গি আস্তানায় উদ্যত ছোরা হাতে মেজর মুরাদের স্ত্রীসহ ৩ নারী তান্ডবকালে পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছে।এ ঘটনায় নিহত হয়েছে এক জঙ্গি।তার নাম করিম।এই করিমই গুলশানের হলি আর্টিজান, শোলাকিয়ার জঙ্গি হামলা, কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানাসহ জঙ্গিদের বাসা ভাড়া নেওয়ার মূল হোতা ‘করিম’ বলে জানিয়েছেন পুলিশের আইজি একেএম শহীদুল হক।
তিন নারী জঙ্গিকে আহতাবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এসেছে পুলিশ।পুলিশ জাতিরকন্ঠকে জানায়, আজিমপুরে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে পুলিশের অভিযানে এক জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে তিন নারী জঙ্গিকে আহতাবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এসেছে পুলিশ। তারা হলো শাহেলা, শারমিন ও জেবুন্নাহার। এদের মধ্যে জেবুন্নাহার মিরপুরের রূপনগরে পুলিশের অভিযানে নিহত মেজর জাহিদুল ইসলাম ওরফে মেজর মুরাদের স্ত্রী।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের পাঁচ সদস্য।নিহত জঙ্গি ওই দলের পুরুষ সদস্য। আজিমপুরে বিজিবি সদর দফতরের ২ নম্বর গেইট সংলগ্ন ২০৯/৫ নম্বরের ছয় তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় এ অভিযান চালানো হয়।
কাউন্টার টেররিজম বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ছানোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অতিরিক্ত উপ –কমিশনার জানান, আজিমপুরের বাড়িটিকে পুলিশ ঘিরে দাঁড়ালে জঙ্গিরা বিস্ফোরক ছোড়ে। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন।
শনিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে আহত নারী জঙ্গি শারমিন, শায়লা ও জেবুন্নাহারকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়। গুলিবিদ্ধ শারমিন ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত শায়লা জরুরি বিভাগে চিকিৎসারত।
এ ঘটনায় কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন। তারা হলেন মাহতাব, জহিরুদ্দিন, রামচন্দ্র বিশ্বাস, লাভলু ও শাজাহান আলী। ঢামেকে তাদের চিকিৎসা চলছে।
রমনা ডিবির কনস্টেবল লাভলু জামান বলেন, বাড়ির ভেতরে ঢোকার পর চাকু মেরেছে। বোমা নিষ্ক্রিয়কারী বিভাগের শাজাহান বলেন, দুই নারী ও দুই পুরুষকে দেখেছি। আমাদের মরিচে গুঁড়াসহ অনেক কিছু মিশিয়ে চোখে ছুড়ে মেরেছে।
এলাকার বাসিন্দা প্রত্যক্ষদর্শী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘গোলাগুলির এক পর্যায়ে সেলোয়ার কামিজ পরা নারীকে ছুরি হাতে দৌড়ুতে দেখি। এ সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি করে। একইসময় আহত এক পুলিশ সদস্য চিৎকার ঘটনাস্থলে আরও পুলিশ সদস্যকে পাঠাতে বলেন। তখন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক নারী সদস্যকে পুলিশ আটক করে।
অভিযান পরিচালনাকারী পুলিশ সদস্যরা জানান, বাড়ির দরজায় নক করলে দরজা খুলে দুই নারী তাদের লক্ষ্য করে মরিচের গুঁড়ো ছোড়ে।
অভিযান পরিচালিত এ বাড়িটি স্থানীয় হাজি মোহাম্মদ কায়সারের বাড়ি বলে জানা গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশের আইজিপি শহীদুল হক ঘটনাস্থলে এসেছেন।