• শনিবার , ১৬ নভেম্বর ২০২৪

‘জঙ্গিবাদ দমনে ওস্তাদ ঢাকা’


প্রকাশিত: ৩:৪১ এএম, ২ আগস্ট ১৬ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৬ বার

বিশেষ প্রতিনিধি   :   সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে দেশবাসীর আরও সহযোগিতা কামনা করেছেন 32প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ প্রমাণ করে দিয়েছে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গি দমনে তারা অন্যদের চেয়েও বেশি সক্ষম।

আজ সোমবার বিকেলে শোকের মাস আগস্টের শুরুতে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের সামনে কৃষক লীগ আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি-পরবর্তী আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

জঙ্গি-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনা পৃথিবীতে প্রতিনিয়তই ঘটে চলেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইউরোপ, ইংল্যান্ড, আমেরিকা—এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে এমন ঘটনা না ঘটছে। কিন্তু বাংলাদেশে আমরা এটুকু বলতে পারি যে ত্বরিত সিদ্ধান্ত নিয়ে যখন যেখানে যা ঘটছে তা আমরা মোকাবিলা করতে সক্ষম, সেটা আমরা প্রমাণ করেছি।’

1যেকোনো ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলার মানুষ আজকে ঐক্যবদ্ধ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অবৈধ ক্ষমতা দখলের, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে এ দেশের মানুষ। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, নতুন একটা উৎপাত শুরু হয়েছে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস।

যখনই যে বা যারা এসব কাজে ধরা পড়ছে, তাদের যদি গোড়ায় যাওয়া যায় তাহলে দেখা যাচ্ছে, যারা এ দেশের স্বাধীনতাবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী বা ওই আলবদর-রাজাকার, তাদেরই এরা সৃষ্ট বা দোসর। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে দেশবাসীর আরও সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, ‘দেশবাসীর আরও সতর্কতা দরকার এবং আশপাশে কোথায় কে আছে, সবার কাছে আমরা এর তথ্য চাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই মাস শোকের, শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর প্রতিজ্ঞা নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি, দেশের মানুষের দোয়া চাই। বাংলার মানুষের দোয়া আমাদের দুই বোনের চলার পথের পাথেয়।’

৭৫-এর বিয়োগান্ত অধ্যায়ের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট আমার বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি, তারাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। কখনো কল্পনাও করতে পারিনি আমরা দুই বোন সর্বহারা হয়ে যাব।’

তিনি বলেন, বাংলার শোষিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সংগ্রাম করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে স্বাধীনতা এনেছিলেন। এই বিজয় মেনে নিতে পারেনি তারা। এতে সমর্থন দিয়েছিল তাদেরই কিছু দোসর। তারাই বাংলার মানুষের কাছ থেকে তাঁকে কেড়ে নিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ দেশের মানুষের ভাগ্য বদল করেই জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা ইনশা আল্লাহ আমরা গড়ে তুলব। এটাই আমাদের আজকের দিনের প্রতিজ্ঞা। আমি আল্লাহর কাছে সেই দোয়া করি। ১৫ আগস্ট নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে তাঁদের আল্লাহ যেন বেহেশতে স্থান করে দেন, সেই কামনা করেন।’

অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৫ আগস্ট নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
কৃষক লীগের সভাপতি মো. মোতাহার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শামসুল হক রেজা প্রমুখ।