• মঙ্গলবার , ২৬ নভেম্বর ২০২৪

জঙ্গিদের হাতে নতুন অস্ত্র দূরবীন


প্রকাশিত: ১২:৫৬ এএম, ২৮ আগস্ট ১৬ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১২০ বার

মোস্তফা কামাল প্রধান   :   নারায়ণগঞ্জে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের পর তাদের ব্যবহৃত জিনিসপত্রের সঙ্গে দুটি দূরবীন 1133tamim-dead-www.jatirkhantha.com.bdপাওয়া গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনুমান, বাসা থেকে দূরে লক্ষ রাখা বা নিজেদের সুরক্ষার কাজেই এটিকে ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে। এছাড়া সকালে এলাকাটি ঘিরে ফেললে অভিযানের সম্ভাবনা দেখতে পেয়ে আস্তানায় থাকা নথিপত্র পুড়িয়ে ফেলে জঙ্গিরা। তবে সেখান থেকে বেশকিছু বই ও কাগজ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

সকালে নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় গোরস্থানের কাছে একটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে গুলশান, শোলাকিয়া ও কল্যাণপুরে ঘটনার মূলহোতা তামিম চৌধুরীসহ ৩ জন নিহত হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে সেখানে অভিযান চালায় ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।

অভিযানের এক পর্যায়ে জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গোলাগুলি শুরু হয়। সম্প্রতি তামিমকে ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল পুলিশ সদর দফতর। সকাল পৌনে ৯টার দিকে অপারেশন ‘হিট স্ট্রং ২৭’ পরিচালনার মধ্য দিয়ে নব্য জেএমবির নেতা তামিম চৌধুরীসহ তিনজন নিহত হয়। বাকি দু’জন হলো মানিক (৩৫) ও ইকবাল (২৫)।

অভিযান শুরুর পর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফারুক হোসেন জানান, অভিযানের খবর পেয়ে জঙ্গিরা বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা এ সময় গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়িয়ে ফেলে। পরবর্তী সময়ে প্রকাশিত ছবিতে ঘরের পোড়া কাগজের বান্ডিল দেখা যায়।

এছাড়া রিয়াদুস সালেহীনসহ কিছু বই, একটি দূরবীন, একটি চশমা, কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ এদিক-ওদিক পড়ে থাকতে দেখা যায়।এর আগে কল্যাণপুরে পুলিশের অভিযানের আগেও জঙ্গিরা তাদের সব নথিপত্র, মেমোরি কার্ড, ল্যাপটপ, মোবাইলসহ অনেক সরঞ্জাম পুড়িয়ে ফেলে।

আইজিপি একেএম শহীদুল হক বলেন, ‘পাইকপাড়া বড় কবরস্থান এলাকার তিনতলা ওই ভবনের তৃতীয় তলাতেই জঙ্গিরা অবস্থান করছিল। সকালে অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে জঙ্গি সদস্যরা তাদের সব ডকুমেন্ট ও আলামত আগুনে পুড়িয়ে ফেলে।’

গত ১ জুলাই গুলশান হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনায় দেশি-বিদেশি ২০ নাগরিককে নৃশংসভাবে হত্যার পর থেকে আসতে শুরু করে তামিম চৌধুরীর নাম। ওই রাতে অভিযান চালাতে গিয়ে জঙ্গিদের বোমায় নিহত হন পুলিশের দুজন কর্মকর্তা। পরদিন সকালে সেনা অভিযানের মধ্য দিয়ে জঙ্গিদের ১২ ঘণ্টার জিম্মি সংকটের অবসান হয়।

কমান্ডো অভিযানে ছয় জঙ্গি নিহতের ঘটনা ঘটে।পরবর্তী সময়ে রাজধানীর কল্যাণপুরে একটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় সোয়াত, র‌্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অভিযানের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে ৯ ‘জঙ্গি’ নিহত হয়। এ সময় ১ ‘জঙ্গি’ গুলিবিদ্ধসহ ২ জনকে আটক করে পুলিশ।