• মঙ্গলবার , ২৬ নভেম্বর ২০২৪

ছিনতাইকৃত ৩৪ লাখ টাকা হজমের চেষ্ঠায় ৩ ছাত্রলীগার


প্রকাশিত: ৪:১০ এএম, ১৬ জুন ১৬ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৭ বার

সাইফুল বারী মাসুম   :  ছিনতাইকৃত ৩৪ লাখ টাকা হজমের চেষ্ঠা চালাচ্ছে ৩ ছাত্রলীগ নেতা।এজন্য নানা ধরনের তদবিরসহ গোপনে হুমকিও দেয়া হচ্ছে টাকার মালিককে। এ ঘটনায় এক ছাত্রলীগ mmmনেতাকে পাকরাও করলেও পুলিশ ঘটনার তিন দিন পরেও মামলা দায়ের করেনি এবং পাকরাওকৃত ছাত্রলীগ নেতাকে কোর্টে’ও সোপর্দ করেনি।থানার মধ্যেই জামাই আদরে রাখা হয়েছে ছিনতাইকারী ছাত্রলীগ নেতাকে। দিকে ছিনতাই করা টাকা পুলিশ এখনো উদ্ধার করতে পারেনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর সায়দাবাদে ৩৪ লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনতাই হওয়ার ঘটনায় সমঝোতার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায়  ৩ দিনেও কোনো মামলা হয়নি।ওই ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা রায়হান আহমেদ রিমেলকে আটক করা হলেও তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি।

যাত্রবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান জাতিরকন্ঠকে বলেন, টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। মামলা না হওয়ায় আটক রিমেলকে আদালতে তোলা হয়নি।আটক হিমেলকে ছেড়ে দেয়া হবে কি না- জানতে চাইলে ওসি বলেন, এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

থানা পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, ছিনতাই হওয়া ওই টাকা হলো হুন্ডির। এ ছিনতাইয়ের সঙ্গে যাত্রাবাড়ী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ তিন ছাত্রলীগ নেতা জড়িত। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রিমেলে এসব তথ্য জানিয়েছে।

মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে সায়দাবাদ বাস টার্মিনালের জনপদ মোড়ে ফেনী থেকে আসা দুই যুবকের কাছ থেকে ৩৪ লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনতাই হয়। ওই টাকার মালিক ব্যবসায়ী সাদেক হোসেন সোহেল। ফেনী থেকে ওই টাকা ঢাকা আনা হচ্ছিল।

সূত্র জানায়, ছিনতাইয়ের ঘটনাটি প্রথম জানানো হয় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানা যুবলীগের এক নেতাকে। তাকে বলা হয়, যে যাত্রাবাড়ি থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মোফাচ্ছেরসহ ২-৩ জন ছাত্রলীগ নেতা দুই যুবকের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয়।ওই নেতা বিষয়টি যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের নেতাদের জানায়। পরে বিষয়টি নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক হয়। এরপর মঙ্গলবার রাতেই পুলিশ যাত্রাবাড়ি এলাকা থেকে রিমেলকে আটক করে।

পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, এ ছিনতাইয়ের সঙ্গে রিমেলসহ তার আরও তিন সহকর্মী জড়িত। তাদেরকেও খোঁজা হচ্ছে।তিনি আরও জানান, ব্যবসায়িক কারণে ৩৪ লাখ ২০ হাজার টাকা এক ব্যক্তির কাছে দেয়ার কথা ছিল। যাদের কাছে টাকা দেয়ার কথা ছিল, তাদেরই একটি গ্রুপ এই টাকা ছিনতাইয়ে সহযোগিতা করেছে।

উপ-কমিশনার সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানান, যার টাকা ছিনতাই হয়েছে তিনি মামলা করার চেয়ে টাকা উদ্ধারে বেশি মনোযোগী। টাকা উদ্ধার হলে তিনি মামলা করবেন না বলেও পুলিশকে জানিয়েছে।

তাই আগে টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আজকের (বুধবার) মধ্যে টাকা উদ্ধার না হলে বৃহস্পতিবার মামলা হতে পারে বলেও তিনি জানান।

পুলিশের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে পুলিশের ওপর চাপ রয়েছে। ঘটনার পর রিমেল ছাড়াও ছাত্রলীগের আরও দুই নেতাকে আটক করা হয়। পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।