ছিনতাইকারীরা খুন করেছে এএসপি মিজানকে
স্টাফ রিপার্টার : সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মিজানুর রহমান তালুকদারকে হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বলছে, ওই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ছিল ছিনতাইয়ের ঘটনা। ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মো. ইউসূফ আলী জানান, গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল শনিবার রাতে টঙ্গী এলাকা থেকে শাহ আলম নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।সে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।
গত ২১ জুন সকালে রাজধানীর রূপনগর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন বিরুলিয়া ব্রিজের কাছে রাস্তার পাশে গলায় কাপড় প্যাঁচানো অবস্থায় মিজানুর রহমানের লাশ পাওয়া যায়। পঞ্চাশোর্ধ্ব মিজানুর হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর অঞ্চলের সাভার সার্কেলের দায়িত্বে ছিলেন। ওই ঘটনায় মিজানুরের ছোট ভাই মাসুম তালুকদার রূপনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কারও নাম উল্লেখ না করে অজ্ঞাত পরিচয় একাধিক ব্যক্তিকে মামলায় আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সেদিন ভোরে সেহেরি খাওয়ার পর সাধারণ পোশাকে উত্তরার বাসা থেকে কর্মস্থল সাভারের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন এএসপি মিজানুর। যে জায়গায় তার লাশ পাওয়া গেছে, বাসা থেকে তা গাড়িতে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের পথ। অতিরিক্ত উপ কমিশনার মো. ইউসূফ আলী বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহ আলম বলেছেন, তারা ছিল চারজন। এএসপি মিজানুরকে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে তারা গাড়িতে উঠিয়েছিল।
কিন্তু পরিচয় জানতে পেরে মিজানুরকে তারা শ্বাসরোধে হত্যা করে ওই জায়গায় লাশ ফেলে যায় বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস জানিয়েছিলেন, এএসপি মিজানুরের শরীরে আঘাতের অনেক চিহ্ন দেখেছেন তারা। চামড়ার নিচে জমাট রক্ত আর গলায় দাগ ছিল।