• সোমবার , ২৫ নভেম্বর ২০২৪

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ প্রজ্ঞাপন জারি


প্রকাশিত: ১:০৮ এএম, ২৪ অক্টোবর ২৪ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২৯ বার

স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা-২ এর সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের সই করা এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে

গত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, গণরুম কেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানা জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং এ সম্পর্কিত প্রামাণ্য তথ্য দেশের সকল প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণ হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, গত ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করে শত শত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিদের হত্যা করেছে এবং আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে এবং সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ আছে যে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাজের সঙ্গে জড়িত আছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯’ এর ধারা ১৮ এর উপধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো এবং আইনের তফসিল-২ এ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নামের ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হলো।এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে প্রজ্ঞাপনে। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি গঠিত হয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধসহ ছেষট্টির ৬ দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্রলীগ ভূমিকা রেখেছে।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার তীব্র গণ আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবি ওঠে। গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণ জমায়েত থেকে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় বেধে দেওয়া হয়।প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম ছাত্র সংগঠনটি নিষিদ্ধ হলো।