ছাত্রলীগার ইমন খুনের নেপথ্যে কে?
যশোর প্রতিনিধি : শান্ত যশোরকে অশান্ত করার চেষ্ঠায় এবার ছাত্রলীগ নেতা ইমনকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। ঘটনার নেপথ্যে ঘোলা
পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্ঠা থাকতে পারে বলে জাতিরকন্ঠকে জানিয়েছেন যশোর কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজমল হুদা। তিনি বলেন, ইমন উচ্চ শিক্ষিত শান্তশিষ্ঠ খুব ভাল ছেলে। তাঁকে কেন হত্যা করা হবে তা খুব শিগগির খুঁজে বের করার চেষ্ঠা করা হচ্ছে।
ইমনকে হত্যা সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শীরা অনলাইন দৈনিক জাতিরকন্ঠকে জানায়, পায়ে হেঁটে বুকে গুলি করে বীর দর্পে চলে যায় সন্ত্রাসী চক্রটি। ঘটনার সময় এলাকায় বিদ্যুত ছিল না এবং ওই এলাকায় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাও নেই। ফলে অপরাধী অপারেশন সাকসেস করেই ফিরে যেতে সক্ষম হয়।
জানা গেছে, যশোরে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন ইমনকে (২৯) শনিবার গভীর রাতে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সে শহরের বেজপাড়ার গুড়গোল্লার মোড়ের আজিমাবাদ কলোনী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেনের ছেলে। খুব সম্প্রতি সে পরিবারের অমতে বিয়ে করেছিল। বিয়েটি মেনে নেয়নি ইমনের পরিবার। এছাড়া ইমন ছাত্রলীগের জেলা কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন। তাকে কারা কী কারণে হত্যা করেছে তা জানাতে পারেনি পুলিশ।
নিহতের পিতা আনোয়ার হোসেন জানান, গুড়গোল্লার মোড়ের সালাম ফার্নিচারের সামনে বসে বন্ধুদের লুডু খেলা দেখছিলেন ইমন। রাত সাড়ে ১১টার পরপরই ২ থেকে তিনজন যুবক এসে ইমনের বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে। হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কাজল মল্লিক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি জানান, ইমন বুকে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা তিনটি গুলির শব্দ পেয়েছেন। অপরদিকে কোতয়ালি থানার অফিসার উপপরিদর্শক হাসানুর রহমান জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। সেখান থেকে একটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। কারা কী কারণে তাকে হত্যা করেছে তা জানা যায়নি।
যশোর জেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল জানান, মনোয়ার হোসেন ইমন তার কমিটির সহসভাপতি ছিলেন। মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কাজল মল্লিক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ইমনের মৃত্যু হয়েছে। পরে রাত ১১টা ১৩ মিনিটে তার লাশ হাসপাতালে পৌঁছায়।
হাসপাতাল চত্বরে নিহত ইমনের বাবা আনোয়ার হোসেন বলেন, কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। অভিযোগ দিলে কি ছেলেকে ফিরে পাবো। কারো কাছে কিছু বলবো না।ইমনের চাচা বাবুল আকতার বলেন, এলাকায় কোন খারাপ অভিযোগ ছিল না। খুব ভাল ছেলে ছিল ইমন। কারা কী কারণে খুন করলে জানি না।