চোরের মার বড় গলা-
রাজশাহী প্রতিনিধি : একেই বলে চোরের মার বড় গলা-। দরপত্রের বাইরে পুরনো খাতা ওজনে বেশি দেওয়ার সময় সাধারণ কর্মচারীদের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের দুই কর্মকর্তা। গতকাল বিকালে শিক্ষা বোর্ড চত্বরে এ ঘটনা ঘটনা ঘটে। হাতেনাতে বিক্ষুব্ধ কর্মচারীদের কাছে ধরা পড়া দুই কর্মকর্তা হলেন শিক্ষা বোর্ডের ভাণ্ডার শাখার উপসচিব সেলিনা পারভীন ও সহকারী সচিব লিটন সরকার
এ ঘটনায় সাধারণ কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিলে ঘটনাস্থলে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং সচিব উপস্থিত হয়ে তাদের শান্ত করেন। অভিযোগ উঠেছে, পুরনো খাতা বিক্রির মাধ্যমে বড় ধরনের আত্মসাতের সঙ্গে শিক্ষা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও জড়িত রয়েছেন।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, দরপত্রের মাধ্যমে নির্বাচিত দুই ব্যবসায়ীকে সকালে কাগজ সরবরাহ শুরু হয়। কাগজ সংগ্রহের জন্য ব্যবসায়ী সাচ্চু ও লালু শিক্ষা বোর্ড চত্বরে তিনটি ট্রাক নিয়ে যান। প্রতি ট্রাকে ৯ টন করে কাগজ সরবরাহের কথা। কিন্তু ভাণ্ডার শাখার উপসচিব ও সহকারী সচিব ৯ টনের বিপরীতে প্রতি ট্রাকে ১১ টন করে কাগজ সরবরাহ করেন। আর ওজন বেশি দেওয়ার জন্য ডিজিটাল মেশিনে সেট করা হয় টিউবওয়েলে ব্যবহূত লোহার পাইপ।
প্রায় তিন ফুট পাইপ মাটির সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হয়।ওজন চলাকালে বিকালে বিষয়টি নজরে আসে শিক্ষা বোর্ডের দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কর্মরত দুই কর্মচারীর। তারা বিষয়টির প্রতিবাদ করলে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন উপসচিব সেলিনা পারভীন ও সহকারী সচিব লিটন সরকার।
একপর্যায়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের সঙ্গে যোগ দেন সাধারণ কর্মচারীরাও। তারা বিষয়টির প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এরপর সেখানে উপস্থিত হন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কালামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় বোর্ড চেয়ারম্যান বিক্ষুব্ধ কর্মচারীদের শান্ত করেন।