‘চেরনোবিল বিপর্যয়’-‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের’ মর্মস্পর্শী ঘটনা লিখে সাহিত্যে নোবেল পেলেন-সেভেৎলানা
অনলাইন ডেস্ক রিপোর্টার: সাহিত্যে এ বছর নোবেল পেয়েছেন বেলারুশের লেখক ও সাংবাদিক সেভেৎলানা অ্যালেক্সিয়েভিচ।
বৃহস্পতিবার সুইডিশ একাডেমি সাহিত্যে নোবেলজয়ী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করে।সুইডিশ একাডেমির বিবৃতিতে বলা হয়, সেভেৎলানা অ্যালেক্সিয়েভিচকে এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে তার ছন্দোময় লেখনীর জন্য, যার মাধ্যমে তিনি সমকালীন দুর্দশা ও সাহসিকতার বয়ান তুলে এনেছেন।
৬৭ বছর বয়সী সেভেৎলানার জন্ম ১৯৪৮ সালের ৩১ মে বেলারুশে। তার বাবা বেলারুশিয়ান ও মা ইউক্রেনীয়। তার বেড়ে ওঠা পিতৃভূমি বেলারুশেই। স্কুল শেষে তিনি স্থানীয় বেশ কয়েকটি পত্রিকায় রিপোর্টার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।
‘চেরনোবিল বিপর্যয়’ ও ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের’ মর্মস্পর্শী ঘটনা প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় তার সাহিত্যে তুলে আনার মধ্যে দিয়ে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর কাড়েন। চেরনোবিল বিপর্যয়ের ওপর ভিত্তি করে ১৯৯৮ সালে প্রকাশিত হয় তার গ্রন্থ ‘ভয়েসেস ফ্রম চেরনোবিল’, যা মূলত ১৯৮৬ সালে এই পারমাণবিক জঞ্জাল সরানোর কাজে নিয়োজিত কর্মীদের ভয়াবহ বর্ণনার সংকলন। চেরনোবিল দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছিল সেভেৎলানার জন্মভূমি বেলারুশের।
তার লেখনীতে মূলত সোভিয়েত ইউনিয়ন ও সোভিয়েত পরবর্তী সময়ের মর্মস্পর্শী ইতিহাস উঠে এসেছে। তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম হচ্ছে ‘দ্য ওয়ার ইন আফগানিস্তান’ বা ‘জিংকি বয়েস’, যা ইংরেজিসহ বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। এছাড়া তার বাচনিক বর্ণনামূলক গ্রন্থ ‘চেরনোবিল ডিজাস্টার’ও বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, সুইডিশ একাডেমির স্থায়ী সচিব সারা দানিউস অ্যালেক্সিয়েভিচকে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার কথা জানানোর পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি একটি শব্দই বলেন, ‘ফ্যান্টাসটিক’।সেভেৎলানা ১৪তম নারী হিসেবে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন। এ বছর পুরস্কার হিসেবে ৮০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার (৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার) পাবেন।গত বছর সাহিত্যে নোবেল পেয়েছিলেন ফরাসি সাহিত্যিক প্যাত্রিক মোদিয়ানো।