• মঙ্গলবার , ১৯ নভেম্বর ২০২৪

চাকরির বয়স ৩৫ কর-আন্দোলনে টালমাটাল অবস্থা


প্রকাশিত: ৭:১০ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২৪ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩২ বার

 

এদিকে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ বছর নির্ধারণের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনায় প্রবেশ করেছেন আন্দোলনরতদের একটি প্রতিনিধি দল। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটের দিকে তারা যমুনায় প্রবেশ করেন।

 

 

বিশেষ প্রতিনিধি : সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা দৈনিক সত্রকথা প্রতিদিন কে জানান, বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনকারীদের শাহবাগ থেকে এখানে আসে।

এদিকে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ বছর নির্ধারণের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনায় প্রবেশ করেছেন আন্দোলনরতদের একটি প্রতিনিধি দল। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটের দিকে তারা যমুনায় প্রবেশ করেন। এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর হেয়ার রোডে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীরা জানান, তারা প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চান। প্রধান উপদেষ্টা ছাড়া কারও সঙ্গে তারা আলোচনা করতে চান না। সাক্ষাৎ না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। শিক্ষার্থীরা চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ এর প্রজ্ঞাপন না নিয়ে অবস্থান ছাড়বেন না বলে ঘোষণা দেন।

এসময় আন্দোলনকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। এরপরও আন্দোলনকারীরা পিছু হটেনি। পুনরায় তারা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। বিকেল চারটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কয়েক শ চাকরিপ্রত্যাশী যমুনার সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বসেছিল। এতে রাজধানীর বেইলি রোড এলাকায় কাকরাইল–মৎস্য ভবন এলাকা থেকে উত্তরা অভিমুখী সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে আছে।

সরেজমিনে রনি হাওলাদার নামের এক আন্দোলনকারী দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে বলেন, তাঁরা আজ প্রথমে শাহবাগ মোড়ে সমবেত হয়েছিলেন। সেখান থেকে বেইলি রোড এলাকায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে আসেন। সেখানে পুলিশ তাঁদের ওপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে তাঁদের কয়েকজন আহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও দায়িত্বশীল কারও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে আমাদের ফটো সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি সেখানে সেনাসদস্য ও পুলিশ সদস্যদের অবস্থান দেখেছেন।আন্দোলনকারীরা এক ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের দাবির বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা চেয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, হয় সরকারের পক্ষ থেকে কেউ তাঁদের কাছে আসুক অথবা তাঁদের প্রতিনিধি নিয়ে কথা বলুক। কোনো ঘোষণা না পেলে তাঁরা এখানে কাফনের কাপড় পরে শুয়ে থাকবেন।