চলচ্চিত্রকে ব্যবহার করে মাহির নানা অপকর্ম-নায়িকারা কি এমন হয় ছি-ছি.অবস্থা ফিল্মে
প্রিয়া রহমান : ঢালিউডকে ব্যবহার চিত্রনায়িকা মাহির নানা অপকর্মেনিন্দা সমালোচনায় ঝড় বইছে চলচ্চিত্রে। মাহিয়া মাহির গোপন একাধিক বিয়ের খবর ফাঁস হওযায় বিব্রত ঢালিউডের কলাকুশলীরা।
তাঁরা জাতিরকন্ঠকে বলেছেন, মাহি ঢালিউডকে ভালবাসেনি ও ভালবেসেছে টাকাকে।চলচ্চিত্রকে ভালবাসলে সে ওমন নোংরা কান্ড করত পারত না।
একজনকে বিয়ে কর তার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি না করেই আরেকজনকে বিয়ে করা এবং মস্তানি দেখাতে ওই স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করে জেল খাটানো কোন ভদ্রঘরের কেউ করতে পারে? ,মাহির কারণে কোন ভদ্রঘরের মেয়ে আর চলচ্চিত্রে আসতে চাইবে?
মাহিকে ঘিরে চলচ্চিত্রপাড়ায় বইছে এমন নানা নিন্দার ঝড়। চলচ্চিত্রের লোকজন বলছেন, নব্বই দশকের শেষ ভাগে চলচ্চিত্রে অশ্লীলতা আসায় এ জগতটকে অনেকেই ভালো চোখে দেখছেন না। এর প্রমাণ সিংহভাগ দর্শক এখন সিনেমাহলবিমুখ। এ অবস্থায় চিত্রনায়িকাদের মধ্যে অনেকে বিভিন্ন সময় নানা বিতর্কের জন্ম দিয়ে জগত সম্পর্কে মানুষের মনে নেতিবাচক ধারণা বাড়িয়ে তুলছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কজন সিনিয়র নির্মাতা বলেন, বিয়ে করা অপরাধ নয়, নানা কারণে গোপনেও বিয়ে হতে পারে। একে মন্দও বলা যায় না। কিন্তু বিয়ের কথা গোপন করে আরেকটি বিয়ে করা, অস্বীকার করে মিথ্যা মামলা দায়ের করা— এ বিষয়গুলো চুরি করে বড় গলায় কথা বলার মতো ধৃষ্টতা; যা মাহি করে ফেলেছেন।
বিষয়টি যদিও এই নায়িকার একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার, তার পরও তিনি যেহেতু চলচ্চিত্র নায়িকা তাই এই জগতের ভাবমূর্তির কথা তার ভাবা উচিত ছিল। মাহির অস্বীকার করা গোপন বিয়ের কাবিন ইতিমধ্যে তার প্রথম স্বামী শাওন আদালতে জমা দিয়েছেন। শাওনের আত্মীয়স্বজন এবং পাড়া-প্রতিবেশী বিয়ের বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ দিচ্ছেন।
শাওনের সঙ্গে বিয়ের খবর অস্বীকার করে মামলা করলেও আদালতে বিয়ের কাবিন উপস্থাপনের পর মাহি এখন মুখে কুলুপ এঁটেছেন। শাওনের স্বজনরা বলছেন, পুলিশ দিয়ে মাহি এখন তাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। শাওনের আইনজীবী বেলাল হোসেন জানান, প্রথম বিয়ের খবর গোপন এবং স্বামীকে তালাক না দিয়ে আবার বিয়ে করায় মাহি দণ্ডযোগ্য অপরাধ করেছেন। তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪৯৪ ধারা অনুযায়ী মামলা করা হবে।
চলচ্চিত্রকাররা বিষয়টিকে মাহির জন্য অমার্জনীয় অপরাধ হিসেবেই দেখছেন। তারা বলছেন, মাহি সামাজিক অবক্ষয় ঘটানোর মতো কাজ করেছেন। প্রথমে গোপনে বিয়ে, পরে সেই বিয়ের খবর গোপন রেখে আরেকটি বিয়ে করা; প্রথম বিয়ের খবর ফাঁস হলে তা অস্বীকার করে প্রথম স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের; পরে আদালতে বিয়ের কাবিন উপস্থাপনসহ একাধারে মাহির এসব ঘটনায় সাধারণ মানুষ এখন ছি ছি করে বলছে, ‘নায়িকাদের চরিত্র বলে কিছু নেই।
তাদের পক্ষে যে কোনো বাজে কাজ করা সম্ভব।’ এ কারণে মাহির দ্বিতীয় স্বামী অপু ও তার পরিবার এখন বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন।
চলচ্চিত্রকারদের দাবি, ২০১২ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেকের পরই মাহি একের পর এক গোপন প্রেম, অশ্লীল ভিডিও প্রকাশসহ নানা নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের জন্ম দিয়ে চিত্রনায়িকাদের প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন।
তার এমন কর্মকাণ্ডে ভালো নায়িকারাও নিজেদের চলচ্চিত্র নায়িকা হিসেবে পরিচয় দিতে লজ্জা পাচ্ছেন। ভালো ঘরের মেয়েরা চলচ্চিত্রে আসতে চাইছেন না। চলচ্চিত্রকাররা বলছেন, মাহি আসলে চলচ্চিত্রকে ভালোবেসে এ জগতে আসেননি। বিষয়টি তার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই প্রমাণ হচ্ছে। চলচ্চিত্রকে ব্যবহার করে আর্থিকভাবে লাভবান এবং নানা অপকর্ম করাই ছিল তার লক্ষ্য।
উচ্ছৃঙ্খল আচরণের কারণে মাহিকে চলচ্চিত্রে আনা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া একসময় এই নায়িকাকে তাদের চলচ্চিত্র থেকে বাদ দেয়। তার হাতে এখন তেমন ছবিও নেই।একটি সূত্র জানায়, মাহি যে উচ্ছৃঙ্খল স্বভাবের এবং একাধিক প্রেম করে বেড়ানো মেয়ে তার অনেক প্রমাণ আছে। একটি ঘটনার কথাই বলি।
গত বছর বেসরকারি রেডিও স্টেশন ‘রেডিও আমার’-এর জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘আমার ভালোবাসা’য় মাহি বলেন, ‘অনেক প্রেম আমার জীবনে এলেও আমি আজ আমার প্রথম প্রেমের কথা বলতে চাই। যা আজও ভুলিনি। তখন আমি উত্তরা হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। আমি কোচিং সেন্টারের এক শিক্ষকের প্রেমে পড়ি। তাকে দেখলেই আমার ভিতর অন্যরকম এক অনুভূতি কাজ করত। সারা রাত কথা হতো। তিন বছরের মতো সময় কেটেছিল আমাদের। এরপর সম্পর্কটা নানা কারণে টিকে না থাকলেও মনে আছে সেসব স্মৃতি।