• শুক্রবার , ২২ নভেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের নেতৃত্বের মানদণ্ড মামলা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা


প্রকাশিত: ৮:৫০ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ১৪ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১১২ বার

 

chatrodol-3-newsnext_09_newsnextbd------------চট্টগ্রাম থেকে বিশেষ প্রতিবেদক-গোলাম কিবরিয়া: 
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের ১১ সদস্যের কমিটি সম্প্রসারিত না হলেও নগরের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, থানা ও ওয়ার্ড ছাত্রদলের কমিটি গঠনের জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

গত শনিবার দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবন থেকে ছাত্রদলের নেতা হতে ইচ্ছুক তরুণ ও যুবকেরা আবেদনপত্র সংগ্রহ শুরু করেছেন। মামলা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা দিয়ে নেতৃত্বের মানদণ্ড নির্ধারণ করা হবে বলে জানা গেছে।
ছাত্রদলের একাধিক নেতা জানান, চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় সরকারি ও বেসরকারি কলেজের সংখ্যা ৩২টি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে নয়টি। এ ছাড়া নগরের ৪১টি ওয়ার্ড ও ১৫টি থানার নতুন কমিটি করার উদ্যোগ নিয়েছে ছাত্রদল। এরই অংশ হিসেবে গত শনিবার থেকে নেতা হতে ইচ্ছুক আগ্রহী তরুণ-যুবকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে। প্রতিটি আবেদনপত্রের দাম ৫০০ টাকা।
নগর ছাত্রদলের সভাপতি গাজী মোহাম্মদ সিরাজউল্লাহ বলেন, ‘দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় এবং থানা-ওয়ার্ড কমিটিগুলো ঝুলে ছিল। সামনে আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু হবে। তাই আমরা নিজেদের ঘর গোছানোর উদ্যোগ নিয়েছি।’
ছাত্রদলের নেতা হতে আগ্রহী একাধিক তরুণ জানান, আবেদনের জন্য ৫০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এ জন্য ছাত্রদলের গঠনতন্ত্র এবং ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে প্রকাশিত একটি বই দেওয়া হচ্ছে। আবেদন ফরমে সংশ্লিষ্টের জীবনবৃত্তান্ত এবং মামলার সংখ্যা উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ২১৩টি ফরম বিক্রি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের ১১ সদস্যের কমিটি গত বছরের ১৮ নভেম্বর কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়। গাজী মোহাম্মদ সিরাজউল্লাহকে সভাপতি ও বেলায়েত হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে এই কমিটি ঘোষণার পর চট্টগ্রামে ছাত্রদলের অন্তঃকোন্দল তীব্রতর হয়। প্রায় এক মাস ধরে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সাধারণ সম্পাদকসহ অনেকে আহত হন। এখনো সেই বিরোধ মেটেনি। এ কারণে কেন্দ্র থেকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হয়নি।
ছাত্রদলের সভাপতি গাজী মোহাম্মদ সিরাজউল্লাহর দাবি, নগর কমিটিতে বিরোধ নেই। ভুল-বোঝাবুঝি যেটা ছিল তা কেটে গেছে। তাই আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মহানগর কমিটির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে। পাশাপাশি নগরের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, থানা-ওয়ার্ড কমিটি ঘোষণা করা হবে।
গাজী সিরাজউল্লাহর বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেন মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম রাশেদ খান। তিনি  বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার আগে থানা-ওয়ার্ড এবং কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি করার এখতিয়ার তাঁদের কে দিয়েছেন? আর প্রতিটি আবেদনপত্রের জন্য ৫০০ টাকা করে কেন সংগ্রহ করা হচ্ছে?


জবাবে গাজী সিরাজউল্লাহ বলেন, ‘ছাত্রদলকে ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আনা হচ্ছে। আমরা নিজস্ব ওয়েবসাইট খুলেছি, যেখানে মহানগর ছাত্রদলের সব তথ্যাবলি থাকবে। নেতাদের পরিচয় থাকবে। আর আমরা ৩৪ বছর পর ছাত্রদলের কার্যালয় পেয়েছি। সেখানে এসি এবং আসবাবপত্র থাকছে। এসবের জন্য অনেক খরচ বাড়ছে।’