চট্টগ্রামে স্বতন্ত্রে হামলা-হুইপের গাড়িবহরের চাকা কেটে দিয়েছে
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শামসুল হক চৌধুরীর গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় তার গাড়িবহরে থাকা মাইক্রোবাসসহ ৬টি গাড়ির চাকা কেটে দেয়া হয়। উপজেলার কাশিয়াইস ইউনিয়নে মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া ওই উপজেলার বুধপুরা বাজারে তার নির্বাচনি ক্যাম্পে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
হামলার বিষয়ে হুইপ সামশুল হকের ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন বলেন, কাশিয়াইসে গণসংযোগকালে আমাদের গাড়িবহরে স্থানীয় চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। চেয়ারম্যানের ছেলে হিমেল, আবু সাদাত সায়েম, জুলকার নাইন চৌধুরী জীবনসহ ৫০-৬০জনের একটি দল এ হামলা চালায়। আমরা এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর অন্তত ২৫-৩০ জন সমর্থক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।আহতদের মধ্যে রয়েছেন- ৩০ বছর বয়সী সাদ্দাম হোসেন, গিয়াস উদ্দিন, ৩২ বছর বয়সী নুরুল ইসলাম, গাড়িচালক জাবেদ এবং ৩৪ বছর বয়সী তৌহিদুল ইসলাম ফারুকী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কাশিয়াইসে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হুইপ সামশুল হক চৌধুরী গণসংযোগ চলাকালে শেয়ার পাড়া রাস্তার মাথায় প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা রাম দা, কিরিচ ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে সামশুল হক চৌধুরী নির্বাচনি প্রচার কাজে ব্যবহৃত ৬টি গাড়ির চাকা কেটে দেয়া হয়। প্রতিপক্ষের লোকজন হামলার সময় হুইপ সামশুল হক চৌধুরীকে অবরুদ্ধ করে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।
ঘটনার বিষয়ে হুইপ সামশুল হকের ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে বলেন, ‘কাশিয়াইসে গণসংযোগকালে আমাদের গাড়িবহরে স্থানীয় চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। চেয়ারম্যানের ছেলে হিমেল, আবু সাদাত সায়েম, জুলকার নাইন চৌধুরী জীবনসহ ৫০-৬০জনের একটি দল এ হামলা চালায়। আমরা এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
এ বিষয়ে পটিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, হামলার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে যান পটিয়া নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও চন্দনাইশ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ শেখ মুহিবুল্লাহ্, পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলাউদ্দিন ভুইয়া জনি এবং পটিয়া সার্কেলের এএসপি আতিকুর রহমান। তিনি বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।