• মঙ্গলবার , ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামে সুন্দরী নারীর ফাঁদ-৪ নারী পর্ন ব্যবসায়ী পাকরাও


প্রকাশিত: ৯:২৮ পিএম, ৩ জুন ১৬ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫১৬ বার

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি   :  চট্টগ্রামে সুন্দরী নারীর ফাঁদ পেতে পর্ন ব্যবসা করতে গিয়ে ৪ নারী পর্ন ব্যবসায়ী পাকরাও হয়েছে। এরা রং নাম্বারে মোবাইলে ছেলেদের সাথে কথা বলে খদ্দের জোগাড় করে।
44
22পরে বাসায় ডেকে নিয়ে সুন্দরী নারী দিয়ে পর্নো-ছবি ধারন করা। তারপর মোবাইলে তোলা ছবির ভয় দেখিয়ে ছেলেদের কাছে স্টাম্প নিয়ে নগদ টাকা, মালামাল ও বিকাশের মাধ্যমে টাকা আদায় করা। এসব অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত থাকার দায়ে চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর থানার বি-ব্লক আবাসিক এলাকা থেকে প্রতারণা চক্রের ৪ নারী সদস্যকে আটক করে পুলিশ।

অভিযোগের ভিত্তিতে গভীর রাতে হালিশহর বি-ব্লক খাল পাড় সুন্নিয়া মাদরাসা এলাকার দুটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেছে হালিশহর থানা পুলিশ। তবে এখনো ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে প্রতারনা চক্রের দুই পুরুষ সদস্য।

আটককৃতরা হলেন জরিনা বেগম (৪৫), বিবি কুলসুমা বেগম (৪০),পারভীন আক্তার আখিঁ (২৫) ও মুন্নি বেগম (২৫)।হালিশহর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান  জানান, নগরীর আইস ফ্যাক্টরি এলাকায় জাবেদ (২৮) নামের এক ইলেকট্রিক মেকানিকের সাথে বিবি কুলসুমার পরিচয় হয় মোবাইলে ফোনের রং নাম্বারে।

তারপর থেকে বিবি কুলসুমার সাথে নিয়মিত মোবাইলে কথা বলতো জাবেদ। একদিন বিবি কুলসুমা জাবেদকে তার বাড়িতে আসতে বললে। শনিবার রাতে জাবেদ ও বন্ধু পিয়ারোকে (৩০) নিয়ে বিবি কুলসুমাকে আবাসিক হোটেলে নিতে চায়। কিন্তু কুলসুমা তাদেরকে হালিশহর বি-ব্লক খালপাড়ের তার বাসায় নিয়ে যায়।

জাবেদ ও পিয়ারোকে বাসায় ঢুকানোর পর ২৫ বছরে দুটি মেয়ে পারভিন আক্তার আখিঁ ও মুন্নিকে দিয়ে তাদের সাথে পর্নো-ছবি তোলে বিবি কুলসুমা ও জরিনা বেগম। ছবি তোলার পর তাদেরকে ভয়-ভীতি মামলার ভয় দেখিয়ে তাদেকে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন।

তারপর জাবেদের কাছে থাকা নগদ ৩ হাজার ৪০০ টাকা ও পিয়োরো কাছে থেকে ৪৫০ টাকা সহ তাদের কাছে থানা দুটি মোবাইল ফোন ও বিকাশের মাধ্যমে আরো পাচঁ হাজার টাকা আদায় করে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ ঘটনার পর রাতে জাবেদ ও তার বন্ধু পিয়ারো থানায় এসে ঘটনা খুলে বলে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে হালিশহর বি-ব্লকের দুটি বাসা থেকে প্রতারণা চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করে। এসময় আটককৃতদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ও কিছু নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

মামলার তদন্তকারী এসআই মিজানুর রহমান আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সাথে আরো দুই পুরুষ সদস্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন। ঐ দুই জনের সাহায্যে তারা এসব কাজ করেন। এর মধ্যে একজনের নাম সোহেল জানালেও আরেক জনের নাম তারা প্রকাশ করেনি।