• রোববার , ২৪ নভেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামে কাউন্সিলদের সহায়তায় টিসিবির তেল কালোবাজারে


প্রকাশিত: ১২:৫২ এএম, ১২ জুলাই ২৩ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৯ বার

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রামে কাউন্সিলদের সহায়তায় টিসিবির তেল কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে। খবর পেয়ে চট্টগ্রাম নগরীর একটি দোকানে অবৈধভাবে মজুদ রাখা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) আড়াই হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করেছে র‌্যাব। ওই দোকানের মালিকসহ চারজনকেও গ্রেফতার করেছে। র‌্যাব জানিয়েছে, ন্যায্যমূল্যে বিক্রির জন্য টিসিবি’র সরবরাহ করা তেল খোলাবাজারে বিক্রি না করে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে কালোবাজারে, যার সঙ্গে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের এক বা একাধিক কাউন্সিলর জড়িত বলে তথ্য পাওয়া গেছে। কাউন্সিলরদের মধ্যে কে বা কারা এই কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত তা তদন্তে নেমেছে র‌্যাব।

সোমবার (১০ জুলাই) রাতে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার বিসিএসআইআর গবেষণাগারের বিপরীতে কালাম স্টোরে অভিযান চালিয়ে সয়াবিন তেল উদ্ধারের পাশাপাশি চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার চারজন হলেন- খোরশেদ আলম (৪০), আব্দুল সালাম (৪৭), মো. নয়ন (২২) ও আল হাদীস (২৪)। এদের মধ্যে খোরশেদ আলম কালাম স্টোরের মালিক।

র‌্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, টিসিবি’র সয়াবিন তেল মজুদের সংবাদ পেয়ে কালাম স্টোরে অভিযান চালানো হয়। এসময় দোকানের ভেতর থেকে একাধিক বোতলভর্তি মোট ২ হাজার ৫৫২ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়। এসব বোতলে টিসিবি’র লোগো লাগানো ছিল। এ সময় দোকান মালিক খোরশেদসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাবের চট্টগ্রাম জোনের সদর ক্যাম্প কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান বলেন, টিসিবির সয়াবিন তেল খোলাবাজারে ১০০ টাকায় প্রতি লিটার বিক্রির কথা। কিন্তু গ্রেফতার খোরশেদ জানিয়েছে, তারা অবৈধ পন্থায় সংগ্রহ করা এসব তেল সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বাড়তি দামে বিক্রি করত, তবে বাজারের অন্যান্য ব্র্যান্ডের চেয়ে কম দামে। এতে দ্রুত এসব তেল বিক্রি হয়ে যেত। আবার টিসিবি’র লোগো ফেলে অন্যান্য ব্র্যান্ডের লোগো লাগিয়ে বাড়তি দামেও বিক্রি করত।

গ্রেফতার চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ ও টিসিবি কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যে র‌্যাব কর্মকর্তা মাহফুজ আরও বলেন, টিসিবির তেল তারা কাউন্সিলরদের কাছ থেকে সংগ্রহ করত বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। কাউন্সিলরদের কাছে তালিকাভুক্ত দরিদ্র শ্রেণির লোকজনের কাছে বিক্রির জন্য টিসিবি যে তেল সরবরাহ করে সেগুলো তারা সংগ্রহ করে দোকানে মজুদ করে রেখেছিল। কাউন্সিলরদের বিষয় আমরা তদন্ত করে দেখছি। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো কাউন্সিলের নাম পেলে আমরা গ্রেফতার করতাম।