• শুক্রবার , ১৫ নভেম্বর ২০২৪

ঘুষখোর সাবধান-ঢাকা জেলা ডিসি অফিসের দুর্নীতি খুঁজছে দুদক টিম


প্রকাশিত: ২:৪৮ পিএম, ২৪ জানুয়ারী ১৭ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭১ বার

এস রহমান  :  ঘুষখোর সাবধান-ঢাকা জেলা ডিসি অফিসের দুর্নীতি খুঁজছে দুদক টিম । ঢাকা জেলা Dudokপ্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়সহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ আরও পাঁচ প্রতিষ্ঠানে নজরদারি জোরদার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ লক্ষ্যে পাঁচটি বিশেষ টিম গঠন করেছে কমিশনের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত বিভাগ। টিমগুলো সেসব প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির ফাঁকফোকর চিহ্নিত করে তা বন্ধের সুপারিশ পেশ করবে। একই সঙ্গে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গত ১৭ ডিসেম্বর সরকারের ১৪টি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে ১৪টি টিম গঠন করে দুদক। এর পাঁচ দিন পর সংস্থার পাঁচ পরিচালকের নেতৃত্বে আরও পাঁচটি টিম গঠন করা হলো। সরকারের সেবাধর্মী গুরুত্বপূর্ণ আরও প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম গোপনে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, পাঁচ টিমের জন্য গতকাল আলাদা আদেশ জারি করে তাদের কার্যপরিধি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, টিম গঠনের দিন থেকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে টিমগুলো সুনির্দিষ্ট সুপারিশসহ সারসংক্ষেপ পেশ করবে। পাঁচ পরিচালকের নেতৃত্বে প্রতি টিমে একজন উপপরিচালক ও একজন করে সহকারী পরিচালক রয়েছেন।

দুদক সূত্র জানায়, পরিচালক একেএম জায়েদ হোসেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ, মো. বেলাল হোসেনের নেতৃত্বে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, খন্দকার এনামুল বাছিরের নেতৃত্বে ঢাকা জেলা প্রশাসন ও সৈয়দ ইকবাল হেসেনের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হবে।

কার্যপরিধিতে চট্টগ্রাম বন্দর, স্থল বন্দর, পরিবেশ অধিদপ্তরে সার্বিক কার্যক্রম, ঢাকা জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) ও রাজস্ব (এসএ) শাখার কার্যক্রম সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে। কার্যপরিধিতে আরও বলা হয়, ওই পাঁচ প্রতিষ্ঠানের আইন, বিধি, পরিচালন পদ্ধতি, সরকারি অর্থ অপচয়ের দিকসমূহ পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করবে এসব টিম। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্ভাব্য ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক, জনসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা ও প্রতিবন্ধকতা, সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি, দুর্নীতির কারণসমূহ চিহ্নিত করতে হবে। হয়রানি ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকা তৈরি করতেও বলা হয়েছে। একই সঙ্গে টিমগুলোকে দুর্নীতি, প্রতিবন্ধকতা সংশোধনের উপায় খুঁজে বের করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সারসংক্ষেপে প্রাতিষ্ঠানিক সেবার মান উন্নয়ন ও জনগণের ভোগান্তি ও দুর্গতিও উল্লেখ করতে হবে।

এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর মহাহিসাব নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় (এজি), বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ বিমান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর বিভাগ, গণপূর্ত অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডবি্লউটিএ), বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডবি্লউটিসি), ওয়াসা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ রেলওয়ে, তিতাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ও ঢাকা মহানগরের সাবরেজিস্ট্রি অফিস দুদক টিমের নজরদারিতে থাকবে।