গ্রেট-টু ইনজুরি আতংক!’চোট’ ফারায় মি ফিজ !
স্পোর্টস রিপোর্টার : গ্রেট-টু ইনজুরি আতংক! ‘চোট’ ফারায় মি ফিজ ! বাংলাদেশের সাড়া জাগানো পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজনীয়তা নিশ্চিত হলেও, এটি কোথায় হবে তা এখনো ঠিক হয়নি। সর্বশেষ জানা গেল এটি ইংল্যান্ডের পাশাপাশি বাংলাদেশের ইনজুরিতে পড়া ক্রিকেটারদের পরিচিত গন্তব্য অস্ট্রেলিয়াতেও হতে পারে।
ইংল্যান্ডের সাসেক্সে খেলতে গিয়েই এই দুর্ভাগ্যের কবলে পড়েন মুস্তাফিজ। কাঁধের ইনজুরির অবস্থা জানতে এমআরআই রিপোর্ট দেখার পর ইউনিভার্সিটি অব গ্রিনউইচের শল্যবিদ টনি কোচার অস্ত্রোপচারের পরামর্শই দেন। এটি গ্রেড-২ ধরনের ইনজুরি।
জানা গেছে তার অস্ত্রোপচার কোথায় হবে এ নিয়ে আজ শনিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি বৈঠকে বসতে পারে। সেখানেই সম্ভাব্য বিকল্পগুলো নিয়ে আলোচনার পর দুই-একদিনের মধ্যেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে বিসিবি। দেশিয় ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থাটি অবশ্য খুব দ্রুতই অস্ত্রোপচার করানোর পক্ষে।
এ ব্যাপারে গতকাল শুক্রবার বিসিবির চিকিত্সক দেবাশীষ চৌধুরী বলেছেন, অস্ত্রোপচার শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ায় হতে পারে। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, “মুস্তাফিজের এমআরআই রিপোর্ট অনুযায়ী কাঁধের এই ইনজুরি পুরোপুরি সারতে অস্ত্রোপচারের কোনও বিকল্প নেই। তাই যতদ্রুত সম্ভব অস্ত্রোপচার করতে হবে।”
ইংল্যান্ডে অস্ত্রোপচার করানোর সিদ্ধান্ত নিলে সেটা গ্রীনউইচ হাসপাতালের শল্য চিকিত্শক ডা. টনি কোচারের কাছেই করানো হতে পারে। অপরদিকে অস্ট্রেলিয়ায় হলে সেটা হবে ডা. গ্রেগ এর কাছে।
অস্ত্রোপচারের ব্যাপারে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার চিকিত্সকদের সঙ্গেই আলোচনা করছে বিসিবির সংশ্লিষ্টরা। দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, “মুস্তাফিজের সুচিকিত্সা নিশ্চিত করতে ইংল্যান্ডের পাশাপাশি কথা বলা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার চিকিত্সকদের সঙ্গেও। আগামী ২-১ দিনের মধ্যেই আমরা মুস্তাফিজের অস্ত্রোপচার কবে, কোথায় হবে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তে আসতে পারবো।”
মুস্তাফিজকে অস্ত্রোপচার করানোর পর তার সুস্থ হতে অন্তত ৫ থেকে ৬ মাস সময় লাগবে। এই সময়ের মধ্যে বাঁহাতি এ পেসার সুস্থ হয়ে যাবেন বলে মত দেন দেবাশীষ চৌধুরী। সেক্ষেত্রে আগামী অক্টোবরে ইংল্যান্ড এবং ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে খেলা হবে না কাটার মাস্টার মুস্তাফিজের।
উল্লেখ্য সাসেক্সের পক্ষে দুর্দান্তভাবে শুরু করলেও কপাল মন্দ মুস্তাফিজের। এসেক্সের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে চার ওভারে ২৩ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। সারের বিপক্ষে পরের ম্যাচে ৩.২ ওভার বোলিং করে ৩১ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। ওই ম্যাচেই আহত হন তিনি। তৃতীয় ম্যাচে গ্লুস্টারশায়ারের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে তার কাঁধের পুরনো ব্যথাটা বিভিষিকা হয়ে দেখা দেয় এই পেসারটির জন্য।