• শনিবার , ১৬ নভেম্বর ২০২৪

গ্যাসের দাম বাড়ানোর তোড়জোড়-বিইআরসি ভবনের সামনে বিক্ষোভ


প্রকাশিত: ৩:৫৬ পিএম, ৭ আগস্ট ১৬ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৩ বার

সাইফুল বারী মাসুম  :    গ্যাসের দাম বাড়ানোর তোড়জোড়-বিইআরসি ভবনের সামনে বিক্ষোভ । Gas-rate-www.jatirkhantha.com.bdআবারও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য আজ রোববার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে  গণশুনানি প্রক্রিয়া। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) এ গণশুনানি হচ্ছে। চলবে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত। এগারো মাসের মাথায় গ্যাসের দাম বৃদ্ধির জন্য এ গণশুনানির উদ্যোগ নেয়া হল।

এর আগে গত বছর আগস্টে গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের দাম গড়ে ২৬ দশমিক ২৯ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল, যা গত সেপ্টেম্বর কার্যকর হয়।
এদিকে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়ে গণশুনানি চলাকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে গণসংহতি আন্দোলন।

গণসংহতির সমাবেশে বক্তারা বলেন, এক বছরের মধ্যে আবারও গ্যাসের দাম বাড়ানো নীতিবিরুদ্ধ। কিন্তু বিইআরসি তা মানছে না। গতবার সরকার ২৭ শতাংশ দাম বাড়ায়। এবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা ১৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি জনগণের জন্য দুর্ভোগ বয়ে আনবে।

তারা বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাসাভাড়া, যানবাহনের ভাড়া, চাল-ডাল-তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে দেশের শ্রমজীবী মানুষের ওপর।

বক্তারা বলেন, দেশের শিল্প ও বস্ত্র মালিকেরাও সরকারের সঙ্গে বৈঠক করে গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিরোধিতা করেছেন। গ্যাসের দাম বাড়লে শিল্প উৎপাদন খরচও অনেক বেড়ে যাবে। এতে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদের সদস্য মনিরুদ্দিন পাপ্পুর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, ফিরোজ আহমেদ, তাসলিমা আখতার, বাচ্চু ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি সৈকত মল্লিক প্রমুখ।

জানা গেছে, গ্যাসের দাম বৃদ্ধির গণশুনানিতে গ্রাহকভেদে ১০ থেকে ১৩০ শতাংশ পর্যন্ত দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে কোম্পানিগুলো। বর্তমানে এক চুলার মাসিক বিল ৬০০ টাকা এবং দুই চুলা ৬৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে যথাক্রমে ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ১ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

গ্যাসের দাম বৃদ্ধির গণশুনানিতে আজ প্রথম দিনে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির সঞ্চালন মাশুল বাড়ানোর প্রস্তাবের বিষয়ে শুনানি হচ্ছে। সরকারি এই কোম্পানিটি প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের সঞ্চালন বাবদ বর্তমান কমিশন দশমিক ১৫৬৫ থেকে বৃদ্ধি করে দশমিক ৪২১৩ করার প্রস্তাব দিয়েছে।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ২ টাকা ৮২ পয়সা থেকে ৪ টাকা ৬০ পয়সা এবং শিল্পে বয়লারে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ৬ টাকা ৭৪ পয়সা থেকে ১০ টাকা ৪৫ পয়সা নির্ধারণের প্রস্তাব রয়েছে। সিএনজির দাম প্রতি ঘনমিটার ৩৫ থেকে বাড়িয়ে ৫৮ টাকা, গৃহস্থালিতে মিটারভিত্তিক গ্যাসের দাম ৭ টাকা থেকে ১৬ টাকা ৮০ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

৮ আগস্ট তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, ১০ আগস্ট পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, ১১ আগস্ট বাখরাবাদ গাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, ১৪ আগস্ট কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, ১৬ আগস্ট জালালাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ও ১৭ আগস্ট সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির গ্রাহক পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর শুনানি হবে।

১৮ আগস্ট  অনুষ্ঠিত হবে পেট্রোবাংলা, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস, সিলেট গ্যাস ফিল্ডস ও বাপেক্সের সরবরাহ করা গ্যাসের পাইকারি মূল্য বাড়ানোর বিষয়ে গণশুনানি হবে। এতে অংশ নিয়ে মতামত দেয়ার সুযোগ রয়েছে ভোক্তাদের। তবে সকালে উপস্থিত হয়ে আলোচনায় নিজের নাম লিপিবদ্ধ করতে হবে।