গোয়েন্দা জালে পাকরাও হলো ‘পার্টি ড্রাগ’ পাচারকারী কবুতর
কুয়েত থেকে সোলাইমান ইব্রাহীম : এবার গোয়েন্দা জালে পাকরাও হলো ‘পার্টি ড্রাগ’ পাচারকারী কবুতর। আন্তজার্তিক মাদক পাচারকারী একটি চক্র কবুতরদের রিতীমত ট্রেনিং দিয়ে মাঠে নামায়। কিন্তু শুল্ক গোয়েন্দাদের জালে ধরা পড়ে যায় ওই কবুতর। কবুতরের পিঠে আটকানো ব্যাগে ভরে মাদক পাচারের এক অভিনব ঘটনা ধরেছেন কুয়েতের শুল্ক কর্মকর্তারা ।
কুয়েতি সংবাদপত্র আল-রাই জানিয়েছে, কবুতরটির পিঠে আটকানো একটি ছোট্ট কাপড়ের ব্যাগে ১৭৮টি কেটামাইন ট্যাবলেট পাওয়া গেছে। এটি এক ধরণের চেতনানাশক ট্যাবলেট – যা অবৈধ ‘পার্টি ড্রাগ’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ইরাক-কুয়েত সীমান্তের কাছে আবদালি শহরের কাস্টমস ভবনের কাছে কবুতরটি ধরা পড়ে। একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুল্ক বিভাগের লোকেরা আগেই জানতেন যে মাদক চোরাপাচারের কাজে কবুতর ব্যবহৃত হচ্ছে – কিন্তু এর একটা দৃষ্টান্ত ধরা পড়লো এই প্রথম।
কোস্টা রিকায় ২০১৫ সালে একটি কারাগারের রক্ষীরা এমনি একটি কবুতর ধরেছিল, যার পিঠে বাঁধা থলিতে কোকেন এবং গাঁজা ভর্তি ছিল।এর আগে ২০১১ সালে কলম্বিয়াতেও পুলিশ একটি কারাগারের বাইরে একটি কবুতর ধরে – যার গায়ে কোকেন ও গাঁজা ভর্তি ব্যাগ বাঁধা ছিল।
কিন্তু ব্যাগের ওজন বেশি হওয়ায় কবুতরটি কারাগারের দেয়াল পার হবার মতো উঁচু দিয়ে উড়তে পারছিল না।
বার্তাবাহক হিসেবে কবুতরের ব্যবহার নতুন নয়। প্রাচীর রোমান যুগেও এর প্রচলন ছিল। কিছু কবুতরের এমন ক্ষমতা আছে যাতে তারা শত শত কিলোমিটার দূর থেকেও নিজের বাড়ি চিনে ফিরে আসতে পারে।