গুলশান ট্র্যাজেডি-খোঁজ নেই আবুল হাসনাত ও তাহমিদের
স্টাফ রিপোর্টার : গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর উদ্ধারদের তালিকায় নাম থাকলেও খোঁজ মিলছে না নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আবুল হাসনাত রেজাউল করিম ও তাহমিদ হাসিব খানের। এমনকি এ ঘটনার মামলায়ও নাম নেই তাদের।
ব্যবসায়ী শাহরিয়ার খানের ছেলে তাহমিদ কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। ঘটনার একদিন আগে দেশে ফিরে ইফতারের পর বন্ধুদের সঙ্গে তিনি ওই ক্যাফেতে গিয়েছিলেন বলে দাবি তাদের পরিবারের সদস্যদের। এ ঘটনায় গুলশান থানায় দায়ের করা মামলায় জীবিত অবস্থায় যে ৩২ জনকে উদ্ধারের কথা বলা হয়েছে, সে তালিকায়ও তাহমিদের নাম রয়েছে। কিন্তু গত কয়েকদিনে তার খোঁজ পায়নি পরিবার।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান শনিবার রাতে জানিয়েছেন, ‘যাদের উদ্ধার করা হয়েছিল তাদের প্রত্যেককে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কেউ এখন পুলিশের হেফাজতে নেই।’ আর এর পরই তাদের অবস্থান নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরিরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগে হাসনাতকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় অব্যাহতি দিয়েছিল। ক্যাফেতে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে যে পাঁচ হামলাকারী নিহত হন, তাদের মধ্যে নিবরাজ ইসলামও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ঘটনার রাতে ওই ক্যাফেতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উপস্থিত ছিলেন হাসনাত রেজা।
২ জুলাই সকালে সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বে কমান্ডো অভিযান শুরুর আগে এক ভিডিওতে ওই ক্যাফের দরজায় হাসনাত রেজাউল করিমকে দেখা যায়। এরও পরে হাসনাত রেজাউল করিমকে সপরিবারে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। গুলশানের হামলায় ভিডিওচিত্র প্রকাশের পর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাতের বিরুদ্ধে হামলায় সম্পৃক্ততার সন্দেহের কথা উঠে আসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
ঘটনার কয়েকদিন পর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এই দু’জনের বিরুদ্ধে হামলায় সম্পৃক্ততার সন্দেহের কথা জানিয়েছিলেন। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সন্দেহের তালিকায় থাকা উদ্ধার হওয়া জিম্মি হাসনাত রেজাউল করিম ও তাহমিদ হাসিব খান তাদের হেফাজতেই আছেন।
পুলিশ ওই দু’জনকে তাদের জিম্মায় রাখার কথা অস্বীকার করলেও দু’জনের বাবা বলছেন, তাদের ছেলেরা গোয়েন্দা পুলিশের কাছেই আছে। হাসনাতের বাবা এম রেজাউল করিম বলেন, ‘ডিবি ওকে নিয়ে যাওয়ার সময় বলেছিল বাসায় পৌঁছে দেবে। কিন্তু এখন দেখাও করতে দিচ্ছে না।’ এর আগে পুলিশ হাসনাত রেজাউল করিমের বাসায় অভিযান চালিয়ে তার ল্যাপটপ ও পাসপোর্ট নিয়ে যায়।