• রোববার , ১৭ নভেম্বর ২০২৪

‘গুম-খুনে জড়িত বাহিনীর বিচার করা হবে’ বাবার জন্য হৃদির আর্তনাদে আপ্লুত খালেদা


প্রকাশিত: ৪:৪০ এএম, ৩০ জুন ১৬ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১১৩ বার

আসমা খন্দকার   : বাবা কবে ফিরবে প্রশ্ন শিশু হৃদির: জড়িয়ে ধরে খালেদা জিয়া বললেন, এই প্রশ্নের Ridy-khalada-www.jatirkhantha.com.bdউত্তর নেই…তবে গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিচার করা হবে। ভবিষ্যতে দেশে গণতন্ত্র ফিরে এলে আমরা অবশ্যই গুম হওয়া নেতাকর্মীদের খোঁজ করবো। র‌্যাব এবং পুলিশের যারা এই গুম-খুনের মতো অন্যায় কাজগুলো করেছে তাদের ক্ষমা করা হবে না। তাদের বিচার একদিন না একদিন হবেই।

শিশু হৃদি অারো বলেন, আমার বাবা গুমের দেশে চলে গেছেন। বাবা হারিয়ে গেছেন। বাবা কবে আসবে। আমিও বাবার কাছে যাব। খুঁজে নিয়ে আসব বিদেশ থেকে। আমার বাবাকে ফিরিয়ে দেন। বাবা ছাড়া ঈদ করতে ভালো লাগে না আমার..।

দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ রাজধানীর বংশাল থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পারভেজ হোসেনের ছোট্ট মেয়ে হৃদি আজ বুধবার গুলশান-২ এ লংবিচ হোটেলে বিএনপির গুম ও খুন হওয়া নেতাকর্মীদের পরিবার ও স্বজনদের সম্মানে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে তার মায়ের সাথে উপস্থিত হয়ে এসব আর্তি করেন।
16263-www.jatirkhantha.com.bd
এসময়ে  ইফতার মাহফিলে গুম হওয়া ৪৫টি পরিবারের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।এ সময়ে হৃদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, শেখ হাসিনা আন্টি, আমার বাবাকে এনে দেন। বাবাকে ছাড়া আমার ভাল লাগে না। আমার বাবার ছবি নিয়ে হাটতে ভাল লাগে না। আমি বাবার হাত ধরে হাটতে চাই।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন বেগম খালেদা জিয়া। এ সময়ে অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।গুম হওয়ার একনেতার ছোট্ট ছেলে আহাদ বলেন, আমি চাই আমার বাবা আমার হাত ধরে স্কুলে নিয়ে যাবে।বিমানবন্দর এলাকার বিএনপির নেতা নিজামুদ্দীনের বাবা শামসুদ্দীন আহমেদ বলেন, ক্ষমতায় থাকতেই শেখ হাসিনা আমাদের সন্তানদের গুম করেছেন।

খালেদা জিয়া বলেন, ‘স্বজন হারানোর ব্যথা আমি বুঝি। আপনারা দেখেছেন আমার সন্তান হারিয়েছি।ক্রসফায়ারের ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘একটি নিরীহ ছেলেকে কথা নেই বার্তা নেই গুলি করে মেরে ফেলা হলো। এটা খুবই দুঃখজনক। বিচার ছাড়া কাউকে গুলি করে মেরে ফেলা যায় না।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেকের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে নানা হয়রানী-নির্যাতন চালানো হচ্ছে।খালেদা বলেন,’এই সরকারের প্রধান উদ্দেশ্যে হলো বিএনপিকে ধ্বংস করা। বিএনপিকে ধ্বংস করতে পারলে তাদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত হবে।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, দলের সিনিয়র নেতা চৌধুরী কামাল ইবনে  ইউসুফ, সেলিমা রহমান, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ডা. জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির  খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল আলম, শহিদুল ইসলাম বাবুল, দলের নেতা সানাউল্লাহ মিয়া. শিরিন সুলতানা প্রমুখ।