গার্মেন্টস আন্দোলনে বিএনপির ইন্ধন-কুষ্টিয়ার এক বিএনপি নেতা ইন্ধনে জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিশেষ প্রতিনিধি : বেতন বৃদ্ধি নিয়ে পোশাকশ্রমিকদের চলমান আন্দোলনে বিএনপির ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।তিনি বলেছেন, কুষ্টিয়ার একজন বিএনপি নেতা কোনাবাড়িতে পোশাকশ্রমিকদের আন্দোলনে ইন্ধন জোগান ও তাদের ঐক্যবদ্ধ করছিলেন। রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এ দাবি করেন মন্ত্রী।রোববারও মিরপুরে পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভ হয়েছে। এর কারণ জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী পোশাকশ্রমিকদের ৫৬ শতাংশ মজুরি বাড়িয়েছেন। অনেকখানি বাড়িয়ে দিয়েছেন। ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা করা হয়েছে। অনেকের মনের সংশয় আছে, দ্বিধা আছে, এরকম আমরা শুনতে পাচ্ছি। সেকেন্ড গ্রেড, থার্ড গ্রেড, ফোর্থ গ্রেড এগুলোর কী হবে। মালিকপক্ষ নিশ্চয়ই এগুলোর সমাধান করবেন, তারা তো ব্যবসা-বাণিজ্য করবেন। সমাধান করার ক্ষেত্রটি আগুন নয়, সমাধান করার ক্ষেত্রে ভাঙচুর নয়, সমাধান করার ক্ষেত্রে রাস্তা অবরোধ করা নয়।
তিনি বলেন, সবচেয়ে প্রণিধানযোগ্য যে বিষয়গুলো, ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে আমরা যা পাচ্ছি। এর প্রায়গুলোই বিএনপির অ্যাক্টিভিস্ট। আমরা দেখেছি কুষ্টিয়ার একজন নেতা কোনাবাড়িতে এসে শ্রমিকদের উৎসাহ দিচ্ছিলো, তাদের ঐক্যবদ্ধ করছিলো। বিভিন্ন স্থানে যেগুলো ক্যামেরাবন্দি হয়েছে, যাদের আমরা ধরতে পেরেছি- এর সবগুলোই বিএনপির অ্যাক্টিভিস্ট।’
শ্রমিক আন্দোলনে বিএনপির ইন্ধন রয়েছে- জিজ্ঞাসা করতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই ইন্ধন আছে, আমরা সেটিই বলছি যে ইন্ধন রয়েছে।তিনি বলেন, এরাই এ নিরীহ শ্রমিকদের উসকে দিচ্ছেন। তাদের জড়ো করছেন। সর্বক্ষেত্রে ফেল করে এ জায়গায় সফলতা পাওয়া যায় কিনা, তারই একটা ব্যবস্থা হয়তো তারা করতে চাচ্ছেন।
মজুরির বিষয়ে কোনো আপত্তি থাকলে শ্রমিকরা মালিকদের সঙ্গে বসে সমাধান করতে পারতো জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সেটি না করে তারা এসব করলে নিজেদের যেমন ক্ষতি হয়, দেশেরও ক্ষতি হচ্ছে, এটা তাদের চিন্তা করা উচিত।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সময়মতো নির্বাচনের ডাক দেবে নির্বাচন কমিশন, সবাই সেখানে অংশ নেবেন-এমনটিই জনগণের প্রত্যাশা। আমরা এখনো বলি, তারা নির্বাচনে আসবেন, নির্বাচন ছাড়া সরকার পাল্টানোর আর কোনো সুযোগ নেই। কাজেই নির্বাচনে তাদের আসতে হবে, যদি সরকার পরিবর্তন করতে চায়।
যারা জ্বালাও-পোড়াও করছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের খুঁজে খুঁজে বের করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ দেশের জনগণও যথেষ্ট সজাগ হয়েছে। জনগণও তাদের ধরিয়ে দিচ্ছে। আমরা অনেক জায়গায় দেখেছি, যারা পেট্রোলের বোতল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছেন, তাদের জনগণ ধরিয়ে দিচ্ছেন। জনগণ যখন ঘুরে দাঁড়াবেন, তখন এগুলো অটোমেটিক্যালি বন্ধ হয়ে যাবে।
বিএনপির সিনিয়র নেতারা কারাগারে, এ অবস্থা থাকলে দলটি নির্বাচনে আসবেন কিনা জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান বলেন, নির্বাচনে আসবেন কি আসবেন না, এটা তাদের এখতিয়ার। আমাদের কথা হচ্ছে, ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ ঘিরে লঙ্কাকাণ্ডের আগে আমরা বিএনপির কোনো নেতাকর্মীদের ধরিনি। সেখানে যখন নৃশংসতা ও বর্বরতা চলছে, তখন তারা মঞ্চে বসে ছিলেন। তারা তো দুঃখ প্রকাশ করতে পারতেন জাতির উদ্দেশে যে আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে উচ্ছৃঙ্খল কিছু কর্মী এসব করেছে। এটা আমাদের কাম্য ছিলো না।