গাজায় যুদ্ধাপরাধ-ইসরায়েলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের প্রস্তাব পাস জাতিসংঘে
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : গাজায় যুদ্ধাপরাধের জন্য ইসরায়েলের জবাবদিহি চেয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল। সেই সঙ্গে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বাংলাদেশসহ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয় ২৮ সদস্য দেশ। হামাসের প্রসঙ্গ না থাকায় প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে আমেরিকা। এ সময় গাজায় দ্রুত ও নিরাপদ ত্রাণ কার্যক্রম চালু করতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। খবর: দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট
ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে প্রস্তাবটি তুলেছিল পাকিস্তান। পরিষদের ৪৭ সদস্য দেশের মধ্যে বাংলাদেশসহ ২৮টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। বিপক্ষে ভোট দেয় যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ ৬টি দেশ। আর ভারত, ফ্রান্সসহ ১৩টি দেশ ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল।
হামাস নির্মূলের নামে গাজায় নারকীয় হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করছে ইসরায়েল। তাদের অব্যাহত বিমান ও বোমা হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে উপত্যকাটি। এরই মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার বৈঠকে বসে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ। এ সময় গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের জবাবদিহি চাওয়া হয়। সেই সঙ্গে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করারও দাবি জানায় সংস্থাটি।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স বলেন, গাজায় ৭ অক্টোবর থেকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন চলছে। দুই পক্ষই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের চরম লঙ্ঘন করছে। গাজায় ছয় মাস ধরে নজিরবিহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বেসামরিক ফিলিস্তিনিরা।
প্রস্তাব পাস হলেও এই সিদ্ধান্ত মানার ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। দীর্ঘদিন ধরেই মানবাধিকার পরিষদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করে আসছে তেল আবিব। অন্যদিকে, গাজায় আগ্রাসন চালানোর ক্ষেত্রে বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহায়তা পাচ্ছে ইসরায়েল। এ অবস্থায় গত ফেব্রুয়ারিতে তেল আবিবে অস্ত্র রপ্তানি অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানায় জাতিসংঘের কর্মকর্তারা। এরপরও ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি অব্যাহত রেখেছে বেশকিছু পশ্চিমা রাষ্ট্র। যার মধ্যে আমেরিকা অন্যতম।