• শুক্রবার , ২৪ জানুয়ারী ২০২৫

গরীবের বিচার-এনজিওগুলোর ভূমিকা পালনের সুযোগ আছে-ইনায়েতুর


প্রকাশিত: ২:৫১ এএম, ২৬ ডিসেম্বর ১৬ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৮১ বার

jastice-enaatur-www-jatirkhanthacom-bdবিশেষ প্রতিনিধি  :  হাইকোর্টের বিচারক বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম বলেছেন, গরীব ও অস্বচ্ছল বিচারপ্রার্থী জনগণের জন্য সরকারি আইনি সহায়তা অপ্রতুল। এজন্য লিগ্যাল এইড কার্যক্রমে সরকারের পাশাপাশি দেশের সকল এনজিওগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের সুযোগ রয়েছে। আজ রবিবার ‘আইন সহায়তা কার্যক্রমে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা’ শীর্ষক কর্ম অধিবেশনে সভাপতির ভাষণে বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গত দশ মাস ধরে সুপ্রিম কোর্টের লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে আমি দায়িত্ব পালন করছি। এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নতুন অভিজ্ঞতার সঞ্চয় হয়েছে। দেশের সকল জেলায় সরকার লিগ্যাল এইড অফিস চালু করেছে যাতে গরীব ও অস্বচ্ছল বিচারপ্রার্থী জনগণ বিনামূল্যে আইনি সহায়তা পায়। কিন্তু এসব অফিস পরিচালনার ক্ষেত্রেও রয়েছে জনবল সঙ্কট। একজন সহকারী জজ লিগ্যাল এইড অফিস পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। তাকে বিচার কাজের পাশাপাশি এটা দেখতে হয়।

বিনা বিচারের দীর্ঘদিন কারাগারে আটক থাকা বন্দিদের বিষয়টি উল্লেখ করে বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম বলেন, সম্প্রতি গণমাধ্যমের কল্যাণে বিনা বিচারে আটক বন্দিদের নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এরকম একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দীর্ঘদিন কারাগারে আটক এক বন্দিকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেই। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ওই বন্দিকে হাইকোর্টে হাজির করে কারাকর্তৃপক্ষ।

এরপর আমাদের জিজ্ঞাসার জবাবে ওই বন্দি বলেছিলো, ঘটনার পর প্রতিপক্ষ তার একটি হাত কেটে নিয়েছে। এরপর সে গ্রেফতার হয়ে ১৬ বছর ধরে কারাগারে। এতদিন বিনা বিচারে কারাগারে থাকার ফলে সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এরপর তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম  জামিন পেলে কোথায় যাবে, সে ব্যাপারেও সে কোন সুদত্তর নেই। এরপর জামিনের পাশাপাশি তার পুনর্বাসনের বিষয়টি আমরা আদেশে উল্লেখ করে দিয়েছিলাম।

বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম বলেন, এই যে পুনর্বাসনের বিষয়টি এটিও নিয়ে এনজিওগুলোর কাজ করার সুযোগ রয়েছে। একইসঙ্গে আইনি সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে এই কর্ম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিএলএস।