গম নিয়ে প্রতিবেদন কারিশমার নেপথ্যে-বিএনপি নেতাদের গোপন চাল!
এস রহমান. ঢাকা: গম নিয়ে সরকারের মাথা গরম করে দেয়ার নেপথ্যে প্রতিবেদন কারিশমার রহস্য’র সন্ধান করছেন গোয়েন্দরা। গোয়েন্দারা বলছেন, সরকার ভাল গম আমদানি করেছে।কিন্তু মহল বিশেষ নিজেদের স্বার্থে সরকারের বিরুদ্ধাচারণ করে ফায়দা লোটার চেষ্ঠা করছে।এর নেপথ্যে বিএনপি নেতাদের গোপন চাল রয়েছে বলেও একাধিক সূত্র দাবি করেছে জাতিরকন্ঠের কাছে।
ওদিকে ৮ জুলাই গম নিয়ে প্রতিবেদনের আসল কারিশমা দেখাতে হবে। আদালত গম নিয়ে প্রতিবেদনের ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আদালত গম নিয়ে প্রতিবেদনের বস্তুনিষ্ঠতারও প্রশ্ন তুলেছেন। ঘটনার নেপথ্যে বিএনপি নেতারা কোন চাল চালছেন কিনা তাও ফাঁস হবে। সূত্র জানায়.
ব্রাজিল থেকে আনা গমের মান নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট। গম জাহাজে তোলার সময় বিদেশি সংস্থার প্রাক-জাহাজীকরণ পরীক্ষা এবং দেশের বিভিন্ন পরীক্ষাগারের রিপোর্ট হাতে পেয়ে আদালত এই প্রশ্ন তোলেন।
এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে খাদ্য অধিদপ্তর এসব রিপোর্ট দাখিল করে। তবে রিট আবেদনকারীর আইনজীবী রিপোর্টগুলোকে অসম্পূর্ণ দাবি করে শুনানির জন্য সময় চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
ব্রাজিল থেকে আনা ২ লাখ টনেরও বেশি গমের মান নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বিভিন্ন গণমাধ্যম নানা রিপোর্ট প্রকাশ হয়ে আসছে। এরই মধ্যে খাদ্যমন্ত্রী এ নিয়ে গণমাধ্যমেরই মুখোমুখি হন।
তারপরও গণমাধ্যমের ঐসব রিপোর্ট তুলে ধরে হাইকোর্টে আবেদন করেন এক আইনজীবী এবং এ আবেদনের শুনানি করেন বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। এর প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার গম পরীক্ষার সব রিপোর্ট দাখিল করতে খাদ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেন আদালত।
রোববার হাইকোর্টের নির্দেশে ১৫৩ পৃষ্ঠার ব্রাজিলের গমের এ যাবত সব পরীক্ষার রিপোর্ট আদালত দাখিল করে খাদ্য অধিদপ্তর। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ৫৭ জেলা থেকে সংগ্রহীত গমের নমুনা পরীক্ষা করে এ গম খাদ্য উপযোগী বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘গমটা আসার পরে খাদ্য অধিদপ্তর গম গ্রহণ করার আগে পরীক্ষা করেছে। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি বিজ্ঞান অনুষদের পক্ষ থেকে পরীক্ষা করা হয়েছে। পরবর্তীতে বারি থেকে পরীক্ষা করা হয়েছে। সর্বশেষ খাদ্য অধিদপ্তরের ল্যাবে গম পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষায় গমের ওজন-আকৃতি যা আছে তাতে এমন কিছু পাইনি যাতে গম খাওয়ার উপযোগী না। বরং তারা বলেছে, এটা খাওয়ার উপযোগী এবং বিতরণ করা যাবে।’
এসময় শুনানিতে গম নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে ঢালাওভাবে প্রতিবেদন প্রকাশের বস্তুনিষ্ঠতার প্রশ্ন তোলেন আদালত।
যদিও রিটকারীর আইনজীবী বিএনপি নেতার ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিনের দাবি, খাদ্য অধিদপ্তরের এসব প্রতিবেদন অসম্পূর্ণ। তিনি বলেন, ‘যে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। এগুলো পরীক্ষা করার জন্য আমরা দু’দিনের সময় চেয়েছি। এই সময়ের মধ্যে আমরা এটা প্রমাণ করবো।’
পরে রিটকারী এ বিষয়ে শুনানির জন্য সময় আবেদন করলে আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি করেন হাইকোর্ট।