• বৃহস্পতিবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

গভীর রাতে ঢাবি ছাত্র-ছাত্রী’র এসব কি?


প্রকাশিত: ৪:০৯ পিএম, ২৬ জুন ১৯ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৪৪ বার

ঢাবি প্রতিনিধি : গভীর রাতে ঢাবি’র ট্যুরিস্ট সোসাইটির কক্ষ থেকে দুই ছাত্র-ছাত্রীকে উদ্ধার নিয়ে নানা সমালোচনা চলছে। জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ট্যুরিস্ট সোসাইটির টিএসসির কক্ষ থেকে গভীর রাতে ইমরান হোসেন শাহরিয়ার ও নওশীন সাইয়ারা নামের ২ ছাত্র ও ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে প্রক্টরিয়াল টিম। ২৫ জুন, রাত ১টার দিকে উদ্ধারকৃত এই দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রীর দাবি রাত বেশি হয়ে যাওয়ায় হলে ঢুকতে ব্যর্থ হয়ে তিনি ঐ কক্ষে অবস্থান নেন। নওশীন সাইয়ারার নাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি জালিয়াতির তালিকায়ও রয়েছে।

জানা গেছে, ইমরান হোসাইন শাহরিয়ার ঢাবি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় স্যার এফ রহমান হলের আবাসিক ছাত্র। আর নওশীন সাইয়ারা আধুনিক ভাষা ইনিস্টিউটের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ও রোকেয়া হলের আবাসিক ছাত্রী। জানা যায়, রাত ১১টায় টিএসসির কর্মচারী কিরনের কাছ থেকে চাবি নিয়ে তারা টুরিস্ট সোসাইটির কক্ষে প্রবেশ করে ভিতর থেকে দরজা ও লাইট বন্ধ করে দেয়।

রাত ১টার দিকে সাংবাদিকরা দরজায় টোকা দিলে তারা ১ মিনিট পর দরজা খুলে। এরপর ঘটনাস্থলে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা উপস্থিত হন। আটককৃত ছাত্রী প্রথমে তার নিজের নাম না বলে একই হলের তৃতীয় বর্ষের অন্য আরেক ছাত্রীর নাম বলে ভূয়া পরিচয় দেয়ার চেষ্টা করে। ছেলেটিও নিজের পরিচয় গোপন করার চেষ্টা করে।দীর্ঘ রাত পর্যন্ত কক্ষের ভেতর কি করছিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে ইমরান হোসেন শাহরির বলেন, আমরা কক্ষের ভেতরে ঘুমাচ্ছিলাম।

হল থাকতে কেন এই কক্ষের ভেতর ঘুমাচ্ছিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নওশীন সায়েরা তার বাড়ি গাজিপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পৌঁছায় রাত সাড়ে এগারোটার দিকে। ১০টার পরে আর হলে প্রবেশের সুযোগ না থাকায় এখানে থাকেন তিনি। ট্যুরিস্ট সোসাইটির কক্ষে নারী শিক্ষার্থী ও পুরুষ শিক্ষার্থী দীর্ঘ রাত পর্যন্ত অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে সংগঠনটির সভাপতি আসিফ উল আলম বলেন, ঘটনাটি অল্প শুনেছি। ঘটনার সত্যতা পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এবিষয়ে টিএসসির পরিচালক মহিউজ্জামান বলেন, সংগঠনগুলো সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কক্ষ ব্যবহার করতে পারে। আমি ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত আমার দায়িত্ব পালন করি। শিক্ষার্থী যদি এইরকম কাজ করে তাহলে তো কারও পক্ষে ঠেকানো সম্ভব নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বান বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে প্রক্টরিয়াল বডি ২জন শিক্ষার্থীকে সেখানে দেখতে পাই। পরে তাদেরকে হল কর্তপক্ষের সাথে কথা বলে হলে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, তারা এত রাতে কেন সেখানে ছিলো বিষয়টি নিয়ে পরে তাদের সাথে কথা বলা হবে এবং কোন অপরাধ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।