• বুধবার , ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

গভীর রাতে ছাত্রলীগের তাফালিং অমর একুশে হলে- প্রাধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ


প্রকাশিত: ১১:২৮ এএম, ১৩ এপ্রিল ১৬ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২৬২ বার

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার  :  সিট নিয়ে বিরোধের জের ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে 1হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলামকে প্রায় তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করে তার ব্যক্তিগত গাড়ি ও হলের প্রশাসনিক রুমে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।

মঙ্গলবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। প্রায় তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর রাত ৩টা ২০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্রলীগ নেতারা ছাত্রদের দাবি-দাওয়া পূরণের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন তারা।

হল সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রাধ্যক্ষের নেতৃত্বে হলের আবাসিক শিক্ষকরা বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি চালায়। এসময় হলের রফিক ভবনের ৫০১ কক্ষের দুই ছাত্রকে তার অ্যাটাসমেন্ট অনুযায়ী হলের সালাম ভবনের ৪০৩ নম্বর কক্ষে যেতে বলেন শিক্ষকরা। এতে ছাত্রলীগের এক নেতা বাধা দিলে তার বেডসিট প্রশাসনিক কক্ষে নিয়ে আসেন শিক্ষকরা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করে।

জানা যায়, প্রাধ্যক্ষ দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে নির্দেশ দিয়ে আসছিলেন। যেখানে হলের কয়েকজন ছাত্রলীগের পদধারী নেতাও রয়েছেন। যার দরুণ এ ঘটনায় তারাও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে হলের সব ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং ছাত্রলীগের নেতারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।

এতেও তারা অবরোধ প্রত্যাহার না করলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘যদি তোমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী হও এবং আমাদের অভিভাবক মেনে থাকো তাহলে প্রত্যেক নেতা তার কর্মীদের নিয়ে রুমে ফিরে যাও। আর যদি না যাও তাহলে আমরা চলে যাচ্ছি তোমরা তোমাদের মতো যা ইচ্ছা তাই করো।’ তখন সব নেতা নিজের কর্মীদের নিয়ে রুমে ফিরে যায়। পরে প্রক্টরসহ ছাত্রলীগ নেতারা প্রাধ্যক্ষকে বাসায় পৌঁছে দেয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আমজাদ আলী বলেন, ছাত্ররা বেশ কিছু দাবিতে স্যারকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। আমরা ছাত্রদের সেসব দাবি নিয়ে কথা বলার আশ্বাস দিলে তারা স্যারের অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে সরে আসে।