• বুধবার , ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

গণস্বাস্থ্যে আড়াই লাখ টাকার অপারেশন ২৮ হাজারে


প্রকাশিত: ৭:৫৪ পিএম, ২৭ মে ২৩ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৮৯ বার

শিশুর পেটে বিরল টিউমার অপসারণ

মেডিকেল রিপোর্টার : গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল অল্প খরচে ইমরান হোসেন নামে ৭ বছরের এক রোগীর পেট থেকে ২ কেজি ওজনের ১২ সে:মি: প্রস্থ ১১ সে:মি: দৈর্ঘ্য মেসেন্টোরিক সিস্ট ( যেটি বিরল পেটের টিউমারগুলির একটি) টিউমার অপসারণ করা হয়েছে ধানমন্ডিস্থ গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ।গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে অনেক অল্প খরচে মাত্র ২৮ হাজার টাকায় এ অপারেশন করা হয়। রোগী এখন সম্পূর্ণ সুস্থ ও বিপদমুক্ত বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক।

শনিবার (২৭ মে ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু বিষয়টি প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে জানান যে, ‘গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অল্প খরচে ইমরান হোসেন নামে ৭ বছরের এক রোগীর পেট থেকে ২ কেজি ওজনের ১২ সে:মি: প্রস্থ ১১ সে:মি: দৈর্ঘ্য মেসেন্টোরিক সিস্ট ( যেটি পেটে বিরল টিউমারগুলির একটি) টিউমার অপসারণ করা হয়েছে। অন্য বেসরকারী হাসপাতাল থেকে অপারেশন করেন গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল ও গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডাঃ মো: আকরাম হোসেন এফসিপিএস (সার্জারী), এফআরসিএস (এডিনবরা) নেতৃত্বে ও একদল চিকিৎসক। অপারেশন টিমে আরো ছিলেন অ্যানেস্থেসিয়ায় কনসালটেন্ট ডাঃ গোলাম রাব্বানী,সহকারী অধ্যাপক ডাঃ নাজিবুল ইসলাম,ডা: সিরাজ শাওন.ডা: জনি, ডা: জেরিন,ডা: ফুয়াদ প্রমূখ’।

বার্তায় বলা হয়, ‘ভোলা জেলার তজিমুদ্দিন উপজেলার দক্ষিন কেয়ামুল্লা
সাস্তাকান্দি গ্রামের সিএনজি চালক আমির হেসেন ও গৃহিনী রুমা আক্তারের দুই ছেলে দুই কন্যা নিয়ে বাড়ীতে দিনযাপন করেন। তৃতীয় সন্তান ইমরান হোসেনের (৭) পাঁচ বছর আগে তার পেটে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভূত হয়। গত এক বছর আগে আল্টা সাউন্ড ও সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে রোগ ধরা পড়ে।

রোগী এক মাস আগে মুগদা সরকারী হাসপাতালে ভর্তি হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে শিশু হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। ২৭ দিন শিশু হাসপাতালে অপেক্ষা করেও অপারেশনের তারিখ না পেয়ে গত ২৩ মে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি হয়। ২৫ মে অপারেশন করা হয়। মরহুম ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রতিষ্ঠিত ধানমন্ডিস্থ গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে স্বনামধন্য জেনারেল সার্জারী অধ্যাপক মো: আকরাম হোসেনের অধীনে ভর্তি হন। ডাক্তার রোগীর সবকিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে তার বিপদ বুঝে দ্রুত সময়ক্ষেপন না করে গত গত ২৩ মে বেলা ১২ টা দুপুর ২ টা পর্যন্ত পর্যন্ত দুই ঘন্টাব্যাপী পুরো অ্যানেস্থেসিয়ার মাধ্যমে তার পেটে সফল অস্ত্রোপচার করে পেট থেকে ২ কেজি ওজনের ১২ সে:মি: প্রস্থ ১১ সে:মি: দৈর্ঘ্য মেসেন্টোরিক সিস্ট (যেটি পেটে বিরল টিউমারগুলির একটি) টিউমার অপসারন করেন’।

শনিবার ২৭ মে দুপুরে রোগীর ফলোআপ দেখতে এসে প্রফেসর ডা: আকরাম হোসেন বলেন, ‘রোগীর টিউমার অস্বাভাবিকভাবে দ্রুত সময়ে যেভাবে বেড়ে যাচ্ছিলো অপরেশন দেরীতে করলে এধরনের রোগীদের জীবন বিপন্ন হওয়া ছাড়াও টিউমার থেকে জটিল রোগ ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শিশুর পেট থেকে ২ কেজি ওজনের ১২ সে:মি: প্রস্থ ১১ সে:মি: দৈর্ঘ্য মেসেন্টোরিক সিস্ট ( যেটি পেটে বিরল টিউমারগুলির একটি) টিউমার অপারেশনের কারনে শিশুটি এখন বিপদ মুক্ত। আশাকরি এখন ইমরান হোসেন (৭) দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠবেন এবং স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারবেন। তিনি আরো বলেন এ ধরনের বড় টিউমারের রোগী সারাদেশে বছরে খুববেশী অপারেশন হয়না’।

এখানে উল্লেখ্যযে, প্রফেসর ডা: আকরাম হোসেন ও তার চিকিকৎসা টিম অত্র হাসপাতালে গত ৬ আগস্ট ২০২২ ইং রামগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ভাদুর গ্রামের আবুল কালাম (৬০) শরীরে সকাল ১১টা হতে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টাব্যাপী সফল অস্ত্রোপচার করেন এবং তার পেট থেকে ১৮ কেজি ওজনের টিউমারটি অপসারণ করেন। তিনিও বর্তমানে সুস্থ্য আছেন এবং স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করছেন।

বার্তায় আরো জানানো হয়, ‘অন্যসব বেসরকারী হাসপাতাল থেকে
গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল অনেক সাশ্রয়ী, মাত্র ২৮ হাজার টাকা খরচে এ অপারেশন করা হয়। বাংলাদেশেই অন্যসব বেসরকারী হাসপাতালে এ ধরনের টিউমার অপারেশন ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা খরচ লাগতো। বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে ‘গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অল্প খরচে সেরা বিভিন্ন চিকিৎসা’ সুব্যবস্থা আছে।
প্রফেসর ডা: আকরাম হোসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৭৭ সালে পড়াশুনা শেষ করে অত্যান্ত সুনামের সাথে আশির দশকে ইরাক তিন বছর এবং তারপর ১৯৯৫ সাল থেকে ১২ বছর সৌদি আরবে কিং ফাহাদ সেন্টাল হসপিটালে সার্জারীতে চিকিৎসা সেবা দেন। পরবর্তীতে তিনি ১২ বছর উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে’। সার্জারী বিভাগের প্রধানসহ আড়াই বছর প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি লিভার টিউমার, ল্যাপারাস্কপি, পাইলস লেজার অপারেশন, গল্ডব্লাডার, হার্নিয়া,অগ্নাশয় ক্যান্সার, কলন ক্যান্সার,পাকস্থলী ক্যান্সারসহ নানাহ জটিল রোগের অপারেশন করে ‘।