• সোমবার , ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

গণমাধ্যমে কোনো আঘাত সরকার সহ্য করবে না: প্রেস সচিব


প্রকাশিত: ২:৫০ এএম, ৮ নভেম্বর ২৪ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৯ বার

 

বিশেষ প্রতিনিধি : সাইবার সিকিউরিটি আইন বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও দেশে সাইবারস্পেসের নিরাপত্তায় নতুন আইন হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।তিনি বলেছেন, ”আমরা যারা সাইবার নিরাপত্তার কথা বলি, সেক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তা, আমরা যারা ফিন্যান্সিয়াল টেকনোলজি ব্যবহার করছি- অনেকে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সিস্টেম ব্যবহার করেন। এখানে যে সমস্যা তৈরি হয়, হ্যাকিং এর কাজ হয়, ব্যাংকগুলোর সিকিউরিটি সেগুলো নিয়ে খুব দ্রুত একটা আইন করা হবে। এটা আগের আইনের মত নয়। যার মূল ফোকাস থাকবে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী এবং আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।”

বৃহম্পতিবার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ে তার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বহু আলোচিত সাইবার সিকিউরিটি আইন বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে ব্রিফ করতে আসেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন. ”গত বছর পতিত স্বৈরাচার ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টকে নতুন একটি বোতলে নাম দিয়েছিল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট। কিন্তু উদ্দেশ্যটা একই ছিল। উদ্দেশ্য ছিল মানুষের কণ্ঠরোধ করা, ভিন্নমত প্রকাশকারীদের দমানো। এর মাধ্যমে অনেক লোককে হয়রানি করা হয়েছিল। যার মধ্যে বিশাল অংশ ছিল সংখ্যালঘু। তাদের জেল দেওয়া হয়েছিল। আজকে উপদেষ্টা পরিষদে সিদ্ধান্ত হয়েছে নীতিগতভাবে, এটাকে বাতিল করা হবে।”

সাইবার সিকিউরিটি আইনে হওয়া মামলার বিষয়ে এক প্রশ্নে শফিকুল আলম বলেন, ”যেগুলো সত্যিকার অর্থে সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কিত সেগুলো থাকবে। কিন্তু যে মামলাগুলো মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করেছিল সেগুলো বাতিল করার বিষয়ে এরই মধ্যে আইন উপদেষ্টা বলেছেন। অন্যান্য বিষয়, যেমন শিশু পর্নগ্রাফি কিংবা (যেখানে) নারী নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলা হয়েছে সেগুলো চলবে।নতুন আইনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ”এটা নিয়ে আইন মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আইন উপদেষ্টা এটা নিয়ে বলবেন।”

দেশের সাংবাদিক, আইনজীবী, বুদ্ধিজীবীদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর আপত্তি ও উদ্বেগের মধ্যে গত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস হয়।

বিভিন্ন সময়ে এই নির্বতনমূলক আইনের ব্যবহারের কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে তখনকার আওয়ামী লীগ সরকার। প্যারিসভিত্তিক রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার সে সময় এক বিবৃতিতে বলে, যে কোনো সমালোচনার জন্য ‘গণমাধ্যমের উপর খড়গ চালানো’ বাংলাদেশের সরকারকে বন্ধ করতে হবে।

এ আইনের ব্যবহার অবিলম্বে স্থগিত করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের শর্তের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সংস্কারের আহ্বান জানান জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ফোলকার টুর্ক।

পরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম বদলে ‘সাইবার সিকিউরিটি আইন করে সরকার। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে তা সংসদে পাস হয়। ওই আইনের ৪২ ধারায় বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হয় পুলিশকে।

গত অগাস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নানা ক্ষেত্রে সংস্কারের দাবির মধ্যে সব কালাকানুন বাতিল বা সংস্কারের দাবিও সামনে আসে। এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

আরেক আলোচিত আইন ‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন’ নিয়ে প্রশ্ন করলে প্রেস সচিব বলেন, ”বাংলাদেশে যেসব আইন দিয়ে মানুষের মতপ্রকাশে বাধাগ্রস্ত করা হয়, সেগুলো নিয়ে সরকার কাজ করছে। আইন কমিশন দেখবে কোন কোন আইন কালা কানুন। তাদের রিপোর্টে আসবে কোন কোন আইন বাদ দিতে হবে, নতুন করে সংশোধন করতে হবে, সেগুলো তারা বলবেন।”

মুজিববর্ষের ‘অপচয়’ তদন্ত হচ্ছে-

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ঘিরে ২০২০ ও ২০২১ সালে ‘মুজিববর্ষ’ পালন করতে গিয়ে ‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় উন্মাদনা’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন শফিকুল আলম।তিনি বলেন, ”আমরা আইএমএফের কাছে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের জন্য হাত পাতছি বেলআউট করার জন্য। কিন্তু দেখা যাচ্ছে মুজিববর্ষের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট করেছি কিছু ম্যুরাল ও স্ট্যাচু বানিয়ে। মুজিববর্ষে কী ধরনের কাজ হয়েছে, কত টাকার অপচয় হয়েছে, তার ডুকুমেন্টেশান করার কথা উপদেষ্টা পরিষদে এসেছে। এটা নিয়ে কাজ হবে।”

তিনি বলেন, ”কোন কোন মন্ত্রণালয় কত কত টাকা খরচ করেছে তার তালিকা করা হবে। দেখা হবে কী কী খাতে টাকাগুলো গেছে। অনেকক্ষেত্রে বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে ফোর্স করা হয়েছে, ফলে কেউ মুজিব কর্নার করেছে, কেউ মুজিবের ম্যুরাল বানাতে বাধ্য হয়েছে।

মুজিববাদকে সামনে রেখে টাকা খরচের যে একটা উন্মাদনা ছিল, কত টাকা অপচয় হয়েছে তা জানার জন্য ডকুমেন্টেশন করা হবে। এই সিদ্ধান্ত হয়েছে আজকের কেবিনেটে। মন্ত্রণালয়গুলো সেই ডকুমেন্টেশনগুলো করবে।”

যেসব আমলা মুজিববর্ষে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কিনা- এ প্রশ্নে প্রেস সচিব বলেন, ”আগে ডকুমেন্টেশন হোক, তার পরে দেখা যাবে কী করা যায়। ডকুমেন্টেশনের পরে দেখতে পাব কী পরিমাণে অপচয় হয়েছে, এগুলো কিন্তু মানুষের করের টাকা। এটা টাকা কীভাবে ব্যয় হল অবশ্যই আমরা দেখব। আপনারা নিশ্চয় দেখেছেন, পদ্মাসেতুতে দুটি ম্যুরালের জন্য ১১৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে, চিন্তা করা যায়!”

‘গণমাধ্যমের ওপর আঘাত ‘সহ্য করব না’

সংবাদপত্রের স্বাধীনতার বিষয়ে এক প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ”সংবাদপত্র স্বাধীনতা সম্পর্কিত সম্পাদক পরিষদের যে বিবৃতি সেটা আমরা দেখেছি এবং আমরা এটা পর্যালোচনা করেছি। সম্পাদক পরিষদ মূলত সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য দায়ী করেছে, তারা মনে করেছে যে একটা গোষ্ঠী সংবাদপত্রকে হুমকি দিচ্ছে এবং এই হুমকির ফলে সংবাদপত্র স্বাধীনতার বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা তারা ব্যক্ত করেছে।

সরকার এটা লক্ষ্য করেছে এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পুলিশ প্রশাসন সব থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সাথে জড়িত অন্যান্য যে বাহিনী আছে তারা সবাই এই বিষয়টা নিয়ে খুব সিরিয়াসলি কাজ করছে যে কারা সংবাদপত্র স্বাধীনতার বিষয়ে হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করছে। কোনো প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হলে সরকারকে জানালে ব্যবস্থা নেবে।

প্রেস সচিব বলেন, ”গণমাধ্যমের ওপর কোনো আঘাত সহ্য করব না। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পরে কোন পত্রিকা, টিভি ও অনলাইন গণমাধ্যম বন্ধ করিনি। নিউজ নামানো বা ওঠানোর জন্য সরকার কিংবা গোয়েন্দা সংস্থা থেকে কোনো কথা বলা হয়নি এখন পর্যন্ত। যেটা গত ১৫ বছরে একটা নিয়ম ছিল।

আমাদের তরফ থেকে একটা শব্দ বলা হয়নি। ভুল নিউজ দেখলে আমরা বিনয়ের সঙ্গে বলেছি সংশোধন করার জন্য। তারপরও আমরা দেখছি অনেক সাংবাদিক ইচ্ছা করে রিউমার ছড়িয়েছেন। সেগুলো আমরা ধরছি না। আমরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ব্যাপারে শতভাগ অঙ্গীকারাবদ্ধ। গত তিন মাসে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সংবাদের বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হয়নি।

বাংলাদেশ টেলিভিশনের সব জেলা প্রতিনিধি বরখাস্ত করা নিয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিটিভি কর্তৃপক্ষই বলতে পারবে, এটি ‘তাদের’ বিষয়।বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের শীর্ষস্থানীয় পদে থাকা অর্ধ শতাধিক সাংবাদিকের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিলের বিষয়ে প্রশ্ন করলে শফিকুল আলম বলেন, ”এটা তথ্য মন্ত্রণালয় করেছে। তাদের ব্যাপারে অবশ্যই কিছু সুনির্দিষ্ট কারণ ছিল, তার ভিত্তিতে তারা এটা করেছে। গত ১৫ বছরে অনেক সাংবাদিকের রোল আমরা দেখেছি। তারা স্বৈরাচারের কণ্ঠস্বর ছিলেন, তারা আরেকজনের ভয়েস কেড়ে নেওয়ার ব্যাপারে গ্রাউন্ড তৈরি করেছেন।

“অনেক ক্ষেত্রে অনেক সাংবাদিক ভায়োলেন্স ইন্সটিগেট করেছে। এগুলো নিয়ে তো ইনভেস্টিগেশন হওয়া উচিত। সংবাদপত্র বা টেলিভিশনের স্বাধীনতা খর্ব করার মত কোনো কাজ সরকার করছে না। আমাদের বিরুদ্ধে অনেক নিউজ হয়েছে। কিন্তু আমরা তা নিয়ে একটা কথাও বলিনি। বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকুক, এটা ইন্সটিটিউশনালাইজ হোক। আমরাও আমাদের মিররের সামনে দাঁড়িয়ে দেখি, আমরা কী কাজ করছি।”

মোটা দাগে ৫টি প্রধান কাজ হয়েছে-

অন্তবর্তীকালীন সরকারের তিন মাসের অর্জন নিয়ে প্রশ্ন করলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ”তিন মাসে এই সরকার যথেষ্ট অর্জন করেছে। তারা সিনসিয়ার ছিল, কোনো কেলেঙ্কারির কথা শুনেছেন? আমরা বলতে পারি, মোটা দাগে পাঁচটা মেজর কাজ হয়েছে।

“প্রথমটি একটা মসৃণ রূপান্ত হয়েছে। দুই, একটা ভঙ্গুর অবস্থা থেকে ইকোমিক রিকভারি হয়েছে। তিন, ম্যাসিভ গ্লোবাল সাপোর্ট পেয়েছি আমরা। চার, রিফর্ম এবং ইলেকশনের একটা রোডম্যাপ দেওয়া হয়েছে; রিফর্মের পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ করে রিফর্ম কতটুকু করা হবে এবং সে অনুযায়ী ইলেকশনের ডেট ঠিক হবে। পাঁচ, জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি, বন্যা, গার্মেন্টসে অশান্তিসহ অনেকগুলো ক্রাইসিস ছিল, এই ক্রাউসিসগুলো থেকে উত্তরণে, কতটা ভালোভাবে মোকাবিলা করা যায় সেই চেষ্টা করেছে সরকার।”

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে মানুষের মধ্যে অনেক ‘আকাঙ্ক্ষা’ তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ”অনেকে ঢাকায় এসে তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করেছেন। আমরা চেষ্টা করেছি সবার সাথে আলাপ-আলোচনা করে যেটা সবচেয়ে বেশি ভায়রেবল সেটা ডেলিভার করার চেষ্টা করেছি। আমরা তাদের বলেছি, অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হলে আরও ভালো সমাধান দেওয়া যাবে।”

কিছু ব্যাংকে টাকা পাওয়া যাচ্ছে না- এ বিষয়ে সরকার কি ভাবছে— এমন প্রশ্নে শফিকুল আলম বলেন, ”বিগত সরকার ব্যাংককে যে ভঙ্গুর অবস্থায় রেখে গিয়েছিল, তার চেয়ে বর্তমান অবস্থান অনেক অনেক ভালো। তারপরও কিছু কিছু ব্যাংক অপরিপক্ক বা রাজনৈতিক প্রভাবে ঋণ দেওয়ার কারণে তারা রুগ্ন হয়ে গেছেন। আমরা বেসরকারি ব্যাংকের ক্ষেত্রে অনেক সময় কিছুই করতে পারি না, এতে মোরাল হ্যাজার্ড তৈরি হয়। তবে আমার মনে হয় ব্যাংকের স্বাস্থ্যের অবস্থা এ মুহূর্তে অনেক অনেক ভালো।”

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ”মূল্যস্ফীতিকে লক্ষ্য করে আমরা সুদ বাড়িয়েছি। কি কারণে করছে সেটা কেন্দ্রীক ব্যাংক জানিয়েছে। সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি ডাবল ডিজিট থেকে সিংগেল ডিজিটে নেমেছিল। এখন আবার বেড়েছে। আমরা আশা করছি সরকারের পদক্ষেপগুলো ঠিক মত প্রয়োগ করতে পারলে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। মূল্যকে সহনীয় করতে আমরা ওয়াদাবদ্ধ এবং মানুষের সহনীয় পর্যায়ে জিনিসপত্রের দাম রাখা।”

প্রয়োজনীয় ওষুধের নয়া তালিকা-

ধূমপান ও তামাকজনিত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ সংশোধনের জন্য উচ্চ পর্যায়ে কমিটি করার সিদ্ধান্তের বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, এ কমিটির নেতৃত্ব দেবেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ।

ধূমপানে মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি ও কর আদায়ের বিষয়টি তুলে ধরেন প্রেস সচিব। সবকিছু বিবেচনা করে নতুন করে আইনটা নিয়ে ভাবা হবে বলেও তিনি জানান । তিনি বলেন, ‘নন কনভেনশনাল সোর্সে’ তামাক শিল্প বিজ্ঞাপন করে, সেগুলো তারা দেখবেন।

প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকা ১১৭টি থেকে বাড়িয়ে ২৬০টি করার চিন্তাভাবনা সরকারের রয়েছে বলে জানান প্রেস সচিব। তিনি বলেন, ”নতুন করে জরুরি প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকা করা যায়। আমাদের দেশের দরিদ্র মানুষেরা ওষুধের উচ্চ দামের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাদের প্রটেকশন দেওয়ার চিন্তার আলোকে একটা টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। তারা স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেবে।”

আজারবাইজানের বাকুতে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী কারা হবে জানতে চাইলে শফিকুল আলম কলেন, ”যতজন না নিলেই না, ততজনকেই নেওয়া হবে। এটি মনে হয়, নিউ ইয়র্ক সফরের চেয়েও কম হবে। আগের পতিত স্বৈরাচার ২৫০ জনের বেশি লোক নিয়ে বড় রকমের সফর করতেন। একটা সফরে যে লোকদের থাকতে হয়, ততগুলো লোককেই নেওয়া হবে এই সফরে। এটা আপনারা যাচাই করে দেখবেন।”