বিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা: সরকার গণমাধ্যমকর্মীদের ব্যাপারে দ্বৈত নীতি অনুসরণ করছে বলে অভিযোগ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে একদিকে সাংবাদিকদের গঠনমূলক সমালোচনার আহ্বান জানানো হচ্ছে; অন্যদিকে সাংবাদিকদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে দ্বৈত নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে, যা গণতন্ত্র বিকাশ ও সুশাসনের পথে অন্তরায়।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার এক বিবৃতিতে ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা বলেন। বৈষম্যমূলকভাবে কোনো কোনো সাংবাদিকের বেলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রবেশে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও নিন্দা জানান তিনি।
বিবৃতিতে গণমাধ্যমের ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্যের মাধ্যমে সাংবাদিক নির্যাতন ও দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা, ব্লগার হত্যা, দুবছর আগে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাসহ গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে গভীর উদ্বেগ ও হতাশাও প্রকাশ করেছে টিআইবি।
বিবৃতিতে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সরকার তার আগের মেয়াদে একদিকে যেমন তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ এবং জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ (সুরক্ষা প্রদান) আইন, ২০১১ প্রণয়ন করেছে অন্যদিকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ এর ৫৭ ধারা সংশোধন এবং জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা, ২০১৪ তে বেশ কিছু ধারা সংযোজিত করেছে, যা গণমাধ্যম এবং ব্যক্তির স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করার ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে।
ইফতেখারুজ্জামান প্রেস কাউন্সিলকে প্রকৃত অর্থে কার্যকর করতে গণমাধ্যমকর্মী ও সরকারকে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে হবে বলে উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে দলীয়করণের ঊর্ধ্বে থেকে সব ধরনের প্রভাবমুক্ত হয়ে দায়িত্ব পালনের জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতিও তিনি আহ্বান জানান।