খেল খতম হচ্ছে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মীর কাসেম আলীর
সাইফুল বারী মাসুম : ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ড রায়ের বিরুদ্ধে মীর কাসেম আলীর করা আপিলের ওপর আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়েছে। তার পক্ষে আইনজীবী এস এম শাহজাহান যুক্তি উপস্থাপন করেন। তিনি আদালতে বলেন, ‘১৯৭১ সালে ৭ নভেম্বরের পর মীর কাসেম আলী চট্টগ্রামে ছিলেন না। তাকে ইসলামী ছাত্র সংঘের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক করার পর ওই সময় তিনি ঢাকা চলে আসেন। তার বিরুদ্ধে হত্যার যে অভিযোগ আনা হয়েছে। তাতে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তাতেও তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’বুধবার সকাল ৯টার পর থেকে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এ শুনানি হয়। আগামী ২৩ নভেম্বর রাষ্ট্র পক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য করেছেন আদালত।এর আগে গত ৯, ১০, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি মীর কাসেমের আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ড থেকে বেকসুর খালাস চেয়ে আপিল করেন মীর কাসেমের আইনজীবীরা। আপিলে তার খালাসের পক্ষে ১৮১টি যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে।২০১৪ সালের ২ নভেম্বর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মীর কাসেমকে মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রদান করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আনীত ১১ ও ১২ নম্বর অভিযোগে মুক্তিযোদ্ধা জসিম ও জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে হত্যার দায়ে আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। এর মধ্যে ১২ নম্বর অভিযোগে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে রায় প্রদান করা হয়।