• শুক্রবার , ১৫ নভেম্বর ২০২৪

খেল খতম হচ্ছে মুফতি হান্নানের-ফাঁসি বহালের পূর্ণ রায় প্রকাশ


প্রকাশিত: ৬:০০ পিএম, ১৮ জানুয়ারী ১৭ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭১ বার

বিশেষ প্রতিনিধি : সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলার ঘটনায় mufti jannan-www.jatirkhantha.com.bdজঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ স্বাক্ষরিত মোট ৬৫ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার। তবে রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন আসামিদের আইনজীবী মোহাম্মদ আলী। মোহাম্মদ আলী জাতিরকন্ঠকে বলেন, ‘রায় প্রকাশিত হয়েছে। তবে আমি এখনো দেখার সুযোগ পাইনি। আসামিদের সঙ্গে এর আগে কথা হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন রিভিউ আবেদন করবেন।’

মুফতি হান্নান ছাড়া আসামিরা হলেন শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপন।গত ৭ ডিসেম্বর আসামিদের হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করে আপলি বিভাগ। মুফতি হান্নানের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।

মুরাদ রেজা জানিয়েছেন, আপিলের এ রায়ের ফলে এই তিন আসামির দণ্ড কার্যকরে আর কোনো বাধা থাকল না। তবে আইনজীবী মোহাম্মদ আলী বলেছেন, আসামিরা চাইলে এক মাসের মধ্যে রিভিউ করতে পারবেন।

গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখে দণ্ড ঘোষণা করেন। রায়ে মুফতি আবদুল হান্নানসহ তিন জঙ্গির ফাঁসির দণ্ডাদেশ ও দুজনকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেট জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন।

ঘটনার দিন অজ্ঞাতপরিচয় আসামির বিরুদ্ধে মামলা করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ৩১ জুলাই মুফতি হান্নানসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এর পর সম্পূরক অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে মঈনউদ্দিন ওরফে আবু জান্দালের নাম অন্তর্ভুক্ত করে অভিযোগ গঠন করা হয়।

বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। এ ছাড়া মামলার অন্য দুই আসামি মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ ও মুফতি মঈনউদ্দিন ওরফে আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন।

নিয়ম অনুযায়ী, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হলে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে। প্রায় সাত বছর পর গত ৬ জানুয়ারি হাইকোর্টে এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়।