খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্টে পালিয়ে যান কর্নেল আসলাম বেগের তত্ত্বাবধানে-প্রধানমন্ত্রী
প্রিয়া রহমান.ঢাকা:
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্টে পালিয়ে যান কর্নেল আসলাম বেগের তত্ত্বাবধানে ।তিনি বলেন,এখানেই শেষ নয়। আরো কয়েকবার পালিয়েছিলেন খালেদা জিয়া।
জনসভায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ‘পালানো’র হিসাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘কোন একটি ষড়যন্ত্র পাকিয়ে তিনি আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যান।’ খালেদা জিয়া’র পালানোর অভ্যাস পুরনো উল্লেখ করে তিনি বলেন. অস্টম শ্রেণীতে পড়ার সময়ে সিনেমার নায়িকা হওয়ার জন্য সহপাঠী আরও দু’জনকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। দিনাজপুর থেকে ট্রেনে যাওয়ার পথে বিহারের কটিহার রেলস্টেশনের পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর তাদের ফেরত পাঠানো হয়। দ্বিতীয়বার পালিয়ে যান তরুণ আর্মি অফিসার জিয়াউর রহমানের সঙ্গে। তখন আওয়ামী লীগের নেতারাই আবার তাকে উদ্ধার করে বাবা-মা’র কাছে ফিরিয়ে দেন।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আর্মি অফিসারদের স্ত্রীদেরও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাদের কাছে। এজন্য গেরিলা পাঠানো হয়েছিল স্ত্রীদের কাছে। সে অনুযায়ী খালেদ মোশাররফ, মঞ্জুরের স্ত্রীরা তাদের স্বামীর কাছে গেলেও যাননি খালেদা জিয়া। সে সময়ে খালেদা জিয়া পল্টনে বোনের বাসায় অবস্থান করছিলেন। তিনি গেরিলাদের বলেছিলেন আজ না, আগামীকাল যাবেন। কিন্তু এর পরেই তিনি বাসা থেকে ক্যান্টনমেন্টে পালিয়ে যান কর্নেল আসলাম বেগের তত্ত্বাবধানে। যে আসলাম বেগ পরবর্তীতে পাকিস্তানের সেনা প্রধান হয়েছিলেন। সেখান থেকে জিয়াউর রহমানকে মেসেজ পাঠিয়েছিলেন, ‘এসব যুদ্ধ-টুদ্ধ করে কিছু হবে না। আমি যাচ্ছি, তুমিও পাকিস্তানে চলে আসো।’
১৯৮৫ সালেও আরেকবার পালিয়ে আশ্রয় নেন পূর্বানী হোটেলে। সেখানের দরজা ভেঙ্গে জেনারেল এরশাদ তার ভাবীসাবকে উদ্ধার করেছিলেন। ১৯৮৬ সালে সমাবেশে তিনি সিপাহীদের বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনদিন হাওয়া হয়ে গিয়েছিলেন। পরে কোর্টে গিয়ে বলেছিলেন এরশাদ সাহেব তাকে হাইজ্যাক করে নিয়ে গিয়েছিলেন। সর্বশেষ তিনি পালিয়ে যান বিডিআর বিদ্রোহের সময়ে। ঘটনার দু’ঘণ্টা আগে তিনি পালিয়ে গিয়েছিলেন কোথায় কেউ জানেন না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এবার বাসা থেকে পালিয়ে অফিসে গিয়ে উঠেছেন। সেখান থেকে আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটাতে চান। আবার বলছেন, তাকে নাকি অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ভালোই হচ্ছে তার, মাগনা মাগনা খাবার-দাবার পাচ্ছেন, আর খাচ্ছেন। তার সমর্থিত একটি পত্রিকা লিখেছে, ‘খাট পছন্দ না হওয়ায় ইতিমধ্যে তা পরিবর্তন করা হয়েছে।’