• মঙ্গলবার , ১৯ নভেম্বর ২০২৪

খালেদা জিয়ার ঘোষণা বিএনপির ভিশন ২০৩০-দেশে দুর্নীতি-দুঃশাসন চরম আকার ধারণ করছে


প্রকাশিত: ১০:৫০ পিএম, ১৯ মার্চ ১৬ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৬ বার

বিশেষ প্রতিবেদক  :  বিএনপির ‘ভিশন ২০৩০’ ঘোষণা দিলেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এর খসড়া পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি khalada jia-www.jatirkhantha.com.bdউল্লেখ করেন, অচিরেই চূড়ান্ত করে সেটি জনগণের সামনে উপস্থাপন করা হবে। শনিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ মিলনায়তনে বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলের বক্তব্যে এ পরিকল্পনা উত্থাপন করেন খালেদা জিয়া।

ভিশন’২০৩০ এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরে জনগণই দেশের মূল মালিক বলে মন্তব্য করেন তিনি। সুখী, সমৃদ্ধ, আধুনিক ও আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই এ ভিশন’২০৩০ এর লক্ষ্য বলেও জানান খালেদা জিয়া।খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছেন। ইতিবাচক রাজনীতির ধারা প্রবর্তন করেছিলেন। মহান স্বাধীনতার মূল্যবোধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। কেবল অতীত নিয়ে পড়ে না থেকে ভবিষ্যৎমুখী উন্নয়নমূলক রাজনীতির ধারাও এদেশে তৈরি করেছিলেন জিয়াউর রহমান। জিয়ার সেই আদর্শ আমাদের পথ, এটাই আমাদের নীতি।

এর আগে বেলা ১১টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন খালেদা জিয়া। এ সময় দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পতাকা উত্তোলনের সময় জাতীয় সংগীত এবং পরে দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।এরপর কেন্দ্রীয় নেতারা কাউন্সিল মঞ্চে গেলে প্রথমেই শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। পরে নেতাকর্মীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।কাউন্সিলে স্বাগত বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

দেশের দুর্নীতি-দুঃশাসন চরম আকার ধারণ করছে–

দেশের দুর্নীতি-দুঃশাসন চরম আকার ধারণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।দেশে দুর্নীতি-দুঃশাসন চরম আকার ধারণ করেছে। কিন্তু বিএনপি এমন একটি সমাজ গড়তে চায় যেখানে সবার মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে জনগণ যে দেশ গড়ে তুলেছিল সেই দেশের মালিকানা আজ জনগণের হাতে নেই। শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে বিএনপির কাউন্সিল উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেছেন।
কাউন্সিল অনুষ্ঠানে ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, তরিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও ড. আবদুল মঈন খান প্রমূখ।
বিএনপি নেতাদের পাশাপাশি ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর মধ্যে এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীরবিক্রম, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জে. (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।