• শুক্রবার , ১৮ অক্টোবর ২০২৪

খালেদা আন্দোলনের নামে সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


প্রকাশিত: ৭:৪৮ পিএম, ৭ মার্চ ১৫ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৯৯ বার

এস রহমান.ঢাকা:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আpm-www.jatirkhantha.com.bdmন্দোলনের নামে সাধারণ মানুষকে হত্যা করছেন। তিনি মানুষের রক্ত নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। এটা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। তাঁর কর্মকাণ্ডের শাস্তি তাঁকে পেতেই হবে।

আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়ার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনি দুর্নীতি করেছেন। তাই মামলা হয়েছে। আত্মবিশ্বাস থাকলে মামলা মোকাবিলা করেন। ’

তিনি বলেন, ‘উনার অবস্থা চোরের মন পুলিশ পুলিশ। আর এ কারণে তিনি আদালতে যান না। বিভিন্ন অজুহাত খোঁজেন। ঘরে বসে আন্দোলন করছেন। আন্দোলনের নামে নিজেই নিজেকে অবরুদ্ধ করে রাখছেন। ’

বিএনপির আন্দোলনে দেশের মানুষের সাড়া নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির নেত্রী অফিসে বসে আছেন। অফিসে বসে বিপ্লব করছেন। হরতাল-অবরোধ ডাকছেন। তাঁর এই আন্দোলনে কেউ সাড়া দিচ্ছে না।

স্বাধীনতাযুদ্ধে পরাজিত শক্তির দোসররা আজকে মানুষের ওপর হামলা করে যাচ্ছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, কোনো জঙ্গিবাদের স্থান এ দেশে নেই। কেউ এ ধরনের কর্মকাণ্ড করলে তার শাস্তি পেতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির নেত্রীর অনেক আশা ছিল, বিদেশ থেকে কেউ এসে তাঁকে ক্ষমতায় বসাবেন। কিন্তু কেউ আসেননি। উল্টো তাঁরা (বিদেশিরা) তাঁর (খালেদা জিয়া) মানুষ খুন বন্ধ করতে বলেছেন। জঙ্গি কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে বলেছেন।
জঙ্গিদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলার মাটিতে জঙ্গি নেত্রীর স্থান নেই।

বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণের পর দেশের আপামর জনসাধারণ স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। দীর্ঘ নয় মাস পাকিস্তান ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন।

সচিবালয়ের কাছে সমাবেশমুখী সমর্থকদের বাসে হাতবোমা হামলা-

বিএনপি জোটের হরতাল-অবরোধের মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশমুখী আওয়ামী লীগ সমর্থকদের একটি বাসে সচিবালয়ের কাছে হাতবোমা হামলা হয়েছে।শনিবার বিকালে শিক্ষা ভবনের সামনের এই হামলায় অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোজাম্মেল হক প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, রাজধানীর রামপুরা থেকে বাসটিতে করে আওয়ামী লীগের কর্মীরা এসেছিলেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে যোগ দিতে।শিক্ষা ভবনে থামিয়ে বাসযাত্রীরা নামার পরপর ৪-৫টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে।

বিস্ফোরণে ১৪ জন আহত হয়েছেন, তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন- ২২ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম (৫৫), ২৩ নম্বর ওয়ার্ড আ.লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলকাস আলী (৫২), ২৩ নম্বর যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী শারমিন আক্তার, রামপুরা থানা আওয়ামী লীগের নেতা আবু তাহের (৫৫), ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য নাজমুল হাসান নাজু, শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের কর্মী আহমদ আলফাজ উদ্দিন, মোটর চালক লীগের সদস্য মো. স্বপন, আব্দুল কুদ্দুস (৪৮), শাহআলম (৪০), মো. মইনুল (৪০), মো. শামীম(৩২), লিখন (১৮), মো. সেলিম হোসেন আনু, মো. ওবায়দুল (২২)

কারওয়ান বাজারেও কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ-

শনিবার কারওয়ান বাজারেও কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে। ওই বিস্ফোরণের কিছু সময় আগেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহর ওই পথ অতিক্রম করে।

চলমান হরতাল-অবরোধের মধ্যে দুই দিন আগে ঢাকার হাজারীবাগে ১৪ দলের সমাবেশে হাতবোমা হামলা হয়েছিল।