খালেদার দুর্নীতি-হাসিনাকে থ্রেট ফখরুলের
স্টাফ রিপোর্টার : সৌদি টিভি কর্তৃপক্ষকে কিছু না বলে শেখ হাসিনার ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জানা গেছে, বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠপুত্র আরাফাত রহমান কোকোর বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং সম্পদের কাহিনী প্রকাশ করেছে একটি সৌদি টিভি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মির্জা ফখরুল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পেরে এবার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছেন।
জানা গেছে, সৌদি আরবে এক দুর্নীতি তদন্তে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের ১২ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ আছে বলে খবর প্রকাশ করা হয়েছে। এসব অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার’ও প্রক্রিয়া চলছে বলে তদন্ত সংস্থা সূত্র জানিয়েছে।বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার করে খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান এবং আরফাত রহমান কোকোর নামে এসব সম্পদ করা হয়।
এরমধ্যে সৌদিআরবে আরাফাত রহমান কোকোর নামে রয়েছে বিলাসবহুল মার্কেট। সৌদি আরবের একটি টিভি চ্যানেল এসম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছে। ওই টিভি চ্যানেলের রিপোর্ট এর লিংকটি এখানে তুলে ধরা হলো:
https://www.facebook.com/shahalam.sapan/videos/1304005733078920/
এদিকে বিদেশে টাকা পাচারের বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। বৃহস্পতিবার গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়াকে নিয়ে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বা তার পরিবারের কারো বিরুদ্ধে বিদেশে সম্পদ পাচার অথবা বিনিয়োগ কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। অবৈধ্য ফখরুদ্দিন ও মাঈনউদ্দিন সরকার এবং শেখ হাসিনার সরকার এসব করাচ্ছে।
বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠপুত্র আরাফাত রহমান কোকোর বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং সম্পদের কল্প কাহিনী তৈরি করে জোর করে গণমাধ্যমকে দিয়ে তা প্রচারের অপচেষ্টা শুধুমাত্র শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণতা, রাজনৈতিক সংকির্ণতা, অন্তসারশূণ্যতা ও দেউলিয়াপনাই প্রমাণ করে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই ধরণের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য শুধু রাজনীতিকে কলুষিত করছে না ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছ রাজনীতিবিদের সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি করবে। আমরা আবারো দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই এই সব বানোয়াট তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি ও প্রতিবাদ করছি এবং অবিলম্বে এই ধরণের মানহানিকর মিথ্যা বক্তব্য প্রত্যাহার করে বেগম খালেদা জিয়া এবং জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। বেআইনি মিথ্যা তথ্য প্রচার বন্ধ করুন এবং এই মানহানিকর মিথ্যা তথ্য প্রচারের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আমরা বাধ্য হব।