খালেদার দাবি-মানুষের ন্যায় বিচার পাওয়ার সব পথ বন্ধ হয়ে গেছে
স্টাফ রিপোর্টার : দেশের মানুষের ন্যায় বিচার পাওয়ার সব পথ বন্ধ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবস উপলক্ষে শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো বাণীতে বিএনপি চেয়ারপারসন এ মন্তব্য করেন।
জাতিসংঘ ঘোষিত ২৬ জুন আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবসটি অত্যন্ত তাৎপর্যময় উল্লেখ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের অগণতান্ত্রিক ও অসহিষ্ণু আচরণের প্রতিবাদ করলেই লেলিয়ে দেয়া হয় তাদের নিজস্ব পেটোয়া বাহিনী।
খালেদা জিয়া বলেন, সরকারের পোষ্য সন্ত্রাসীদের হাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী ও শিশুরাও ভয়াবহভাবে নির্যাতিত হচ্ছে। সরকারের নিষ্ঠুর দমননীতির ছোবলে গণতন্ত্রকে দেশ ছাড়া করা হয়েছে। জঙ্গিবাদ বিষয়ে তিনি বলেন, দেশে এক দানবীয় উগ্র জঙ্গি শক্তির উত্থান হয়েছে। যারা হিন্দু- বৌদ্ধ-খ্রিস্টান, ব্লগার, শিয়া সম্প্রদায়, পীর, বাউল-সাধক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের ওপর মরণঘাতী হামলা করছে। এদের আক্রমণে দেশের কোনো না কোনো এলাকা রক্তে সিক্ত হচ্ছে।
জঙ্গি দমনে সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, উগ্র গোষ্ঠীর কার্যকলাপ নিয়ে সরকারের ভূমিকা এখন রহস্যঘেরা। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হয়রানির অভিযোগ করে তিনি বলেন, জঙ্গিদের দমনের নামে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মী, সমর্থক এবং সাধারণ মানুষের ওপর নামিয়ে আনা হয়েছে দুঃসহ নিপীড়ণের খড়গ। ফলে দেশের মানুষের ন্যায় বিচার পাওয়ার সব পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এদেশে এখন বিচারের বাণী নিরবে নিভৃতে কাঁদে।
খালেদা জিয়া বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর ঔপনিবেশিক শৃঙ্খল থেকে জাতিসমূহ স্বাধীনতা অর্জন করলেও আজও বিশ্বব্যাপী চলছে জাতিগত, বর্ণগত, ভাষাগত এবং ধর্মীয় ও সম্প্রদায়গত সংঘাত। এ সংঘাত ও বিরোধের কারণেই সাধারণ মানুষ দেশে দেশে নিষ্ঠুর স্বৈরশাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে নিহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করছে। মিথ্যা মামলায় বছরের পর বছর কারাযন্ত্রণা ভোগ করছে।
সারা বিশ্ব আজ যান্ত্রিক সভ্যতায় এগিয়ে গেলেও মানবিক সভ্যতা বেশিদূর এগোতে পারেনি।বাংলাদেশে গণতন্ত্র বন্দী উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র এখন বন্দী, এখানে ভয়াবহ দুঃশাসন চলছে।