• রোববার , ১৭ নভেম্বর ২০২৪

খালেদার অফিসে তল্লাশি- রিজভী’র দাবি ‘পাতানো ষড়যন্ত্র’


প্রকাশিত: ১২:২৮ পিএম, ২০ মে ১৭ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৭ বার

khaleda-zia-office_www.jatirkhantha.com.bd

বিশেষ প্রতিনিধি :  বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে। এসময় বেশ কয়েকজনের মোবাইল ফোন নিয়ে চেক করা হয়। গুলশান থানার ওসি বলেছেন, যে সন্দেহে অভিযান চালানো হয়েছিল তা মেলেনি; সরিয়ে ফেলা হয়েছে।পুলিশ জানায়, এক ব্যক্তির সাধারণ ডায়েরির (জিডি) ভিত্তিতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। তল্লাশির জন্যে ম্যাজিস্ট্রেটকে দিয়ে সার্চ ওয়ারেন্ট বের করা হয়েছিল।22

এ সম্পর্কে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তাঁর অভিযোগ, এটি খালেদা জিয়াকে অপমানিত ও বিপর্যস্ত করার কঠিন ও পাতানো ষড়যন্ত্রের অংশ।

আজ শনিবার সকাল আটটা থেকে দেড় ঘণ্টার কিছু বেশি সময় ধরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে তল্লাশি চলে। এ সময় কার্যালয়ের ভেতরে যান বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তল্লাশি শেষে সকাল সাড়ে নয়টার কিছু পরে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।

তিনি বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কিছু না জানিয়ে তালা ভেঙে পুলিশ কার্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষে প্রবেশ করে। ভেতরে কয়েকজন কর্মচারীর মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য -মূলকভাবে করা হয়েছে। একটি অজ্ঞাতনামা জিডির ভিত্তিতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই হানা দেয়া হয়েছে।

রিজভী আরো বলেন, আমাদের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল তৌহিদ ও আমার উপস্থিতিতে পুলিশ বলে গেছে তারা কিছু পায়নি। শনিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে পুলিশ খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় থেকে বের হয়ে যায়। এর আগে পুলিশের গুলশান জোনের ডিসি মোশতাক আহমেদের নেতৃত্বে কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে পুলিশ ওই বাড়িতে প্রবেশ করে। সকাল পৌনে ১০টার দিকে তারা চলে যায়।

রিজভী বলেন, অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির সাধারণ ডায়েরির (জিডি) ভিত্তিতে ম্যাজিস্ট্রেটকে দিয়ে সার্চ ওয়ারেন্ট করিয়ে কার্যালয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে। তিনি নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়ে বলেন, হাওরসহ নানা ঘটনায় সরকার যে বিপর্যস্ত, সেদিক থেকে দৃষ্টি ফেরাতে এটি করানো হয়েছে। বিএনপি নেতা রিজভীর দাবি, তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ কিছুই পায়নি।

সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত অভিযানের পর ওসি আবু বকর বলেন, যে তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়, সে রকম কিছু পাওয়া যায়নি।খালেদা জিয়ার অফিস কর্মচারী সোহরাব জানান, প্রধান ফটকের তালা ভেঙে পুলিশ কার্যালয়ে ঢোকে। ঢুকেই তারা কার্যালয়ের চারজন কর্মীর মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়। যাওয়ার সময় পুলিশ ভাঙা তালাটি নিয়ে যায়।

অভিযান শেষে সকাল পৌনে ১০টার দিকে সড়কে বসানো ব্যারিকেড তুলে নেয় পুলিশ।তল্লাশি অভিযানে নেতৃত্ব দেন ডিএমপির গুলশান জোনের উপ কমিশনার মোস্তাক আহমেদ।

পুলিশ বেরিয়ে যাওয়ার পর কার্যালয়ে ঢুকে দেখা যায়, নিচের তলা ও দোতলায় দুটি সিসি ক্যামেরার মূখ ঘুরিয়ে রাখা হয়েছে। দোতলা ও তিন তলায় কাগজপত্র, ফাইলপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।এই কার্যালয়ের দোতলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কক্ষ।

অভিযানের সময় বিএনপির কোনো নেতা সেখানে ছিলেন না। খবর পেয়ে প্রথমে উপস্থিত হন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।এরপর আসেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, জয়নাল আবেদিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ।

পুলিশি অভিযানের প্রতিবাদে যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, এস এম জাহাঙ্গীর, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েলের নেতৃত্বে দুই শতাধিক নেতা-কর্মী কার্যালয়ের সামনে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ করে। যুবদলের পক্ষ থেকে ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভের কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়।