খালেদার অপকর্মের কথা মানুষ ভুলবে না: আশরাফ
স্টাফ রিপোর্টার: ‘বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার অপকর্মের কথা মানুষ কখনো ভুলবে না’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, ‘২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত কিসের জন্য তিনি আন্দোলন করেছেন সেটাই এখন প্রশ্ন।’
আশরাফ বলেন, ‘এ সময়ে তিনি ৬৪ জনকে হত্যা করেছেন, শত শত মানুষকে আহত করেছেন, ১৭ হাজার কোটি টাকার সম্পদ ধ্বংস করেছেন।’
মঙ্গলবার দুপুরে ‘গণতন্ত্র বিজয় দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেইটের সামনে এক সমাবেশে এক কথা বলেন তিনি।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী ষড়যন্ত্র করছিলেন যেন এদেশ এগিয়ে যেতে না পারে। রক্তের হোলি খেলা খেলছিলেন। তার অপকর্মের কথা মানুষ কখনও ভুলবে না।’
আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেই নির্বাচনের জন্য একটা মানুষও হত্যার প্রয়োজন পড়বে না। শেখ হাসিনা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন।’
আজকের সমাবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের তেমন প্রস্তুতি ছিল না তারপরও বিপুল সংখ্যক মানুষের সমাগম হয়েছে। আওয়ামী লীগের শক্তি এদেশের জনগণ। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ ও গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। জনসভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
সমাবেশে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘৫ জানুয়ারিতে পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্র করেছিল, যাতে দেশের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত না থাকে। অসাংবিধানিকভাবে অপশক্তির হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়ে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ব্যহত করতে। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে বাংলাদেশ সব দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘৫ জানুয়ারি নির্বাচন হয়েছিল বলেও বাংলাদেশের মানুষ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছেন।’
হানিফ বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার কথা ছিল কিন্তু পরাজিত শক্তি পাকিস্তানির দোসর বিএনপি ওই সমাবেশ বানচাল করার জন্য ষড়যন্ত্র করে।’
সোহরাওয়ার্দীতে তাদের সমাবেশ করার কোনো অধিকার নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
খালেদা জিয়াকে বিতারিত করতে দলের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আ’লীগের এ নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়া মনেপ্রাণে পাকিস্তানি। তাকে বের করে দিয়ে দলকে ঢেলে সাজান। তাহলে সত্যিকার বিরোধীদল হিসাবে মানুষ ভাবতে পারবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ আজিজ, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিএম মোজাম্মেল হোসেন।