খাদ্যে ফরমালিন কার্বাইড ইউরিয়া-কে দেবে ভেজাল থেকে মুক্তি…
খাদ্যদ্রব্যে ফরমালিন কার্বাইড ইউরিয়ার ছড়াছড়ি।সরকার আছে প্রশাসন আছে কিন্ত কে শোনে কার কথা! বিশুদ্ধ খাদ্রদ্রব্য য়ারা নিশ্চিত করবে তারাও যেন নিশ্চুপ। প্রতিবছর রমজান এলে তড়িঘড়ি করে ভেজাল মুক্তির আন্দোলন শুরু হয়। একটা সময় পর্যন্ত চলে এটা।তারপর ফের পুরনো চেহারার ফিরে যায় অবস্থা। কেউ খোঁজ রাখেনা, এখন প্রশ্ন উঠেছে কে দেবে ভেজাল থেকে মুক্তি…!মাছ-মাংস থেকে শুরু করে চাল-ডাল-মুড়ি-তেল এবং যাবতীয় ফলমূলে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক মেশানো হচ্ছে৷ সরকারি বিভিন্ন সংস্থা কেবল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কিছু খাদ্যদ্রব্য ধ্বংস করছে বা কাউকে কাউকে জরিমানা করছে৷ এতে করে ফরমালিন, কার্বাইড, ইউরিয়া প্রভৃতি রাসায়নিক মেশানোর নিশ্চয়তাই মিলছে, বিশুদ্ধ খাদ্যদ্রব্য কীভাবে মিলবে, তা জানা যাচ্ছে না৷ রাসায়নিকের যে ঢল খাদ্যবাজার সয়লাব করে দিচ্ছে, তা ঠেকাতে এ ধরনের দৌড়ঝাঁপ খুবই অপ্রতুল৷ নতুন ব্যবস্থা হিসেবে এবার ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে তল্লাশিচৌকি বসানো হচ্ছে৷ যদি ধরেও নেওয়া হয়, এসব তল্লাশিচৌকি এড়িয়ে কোনো রাসায়নিকযুক্ত খাদ্যপণ্য রাজধানীতে প্রবেশ করবে না, কিন্তু ঢাকায় ঢোকার পর সেগুলোতে যে রাসায়নিক মেশানো হবে না, তার নিশ্চয়তা কী? তা ছাড়া, প্রতিদিন শত শত ট্রাক খাদ্য কি এভাবে পরীক্ষা করা সম্ভব? এবং রাজধানীর বাইরেই বা বিষমুক্ত খাদ্য সরবরাহের উপায় কী?
বছরের পর বছরজুড়ে খাবারের সঙ্গে যেসব বিষাক্ত পদার্থ মানবদেহে প্রবেশ করেছে, তা ক্যানসার, কিডনি ও পাকস্থলীর রোগ, হৃদ্রোগসহ বিভিন্ন কঠিন রোগের প্রকোপ বাড়াচ্ছে৷ বিশেষত, শিশুস্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাব সবচেয়ে মারাত্মক৷ এই পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠনের দাবি উঠেছে৷ লোকবল, প্রযুক্তি ও তহবিলসমৃদ্ধ খাদ্য প্রশাসন ছাড়া বিষের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়৷ একে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে গণ্য করে নিশ্ছিদ্র ব্যবস্থা গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি৷
প্রথমত, খাদ্যে ভেজাল, বিষ ইত্যাদি ব্যবহারের শাস্তি কঠোর করতে হবে৷ দ্বিতীয়ত, উৎসেই, তথা খাদ্য উৎপাদিত হওয়ার স্থানেই নজরদারি বাড়াতে হবে৷ উৎপাদক অথবা ব্যবসায়ীদের স্বউদ্যোগে দূষণমুক্ত খাদ্যের প্রত্যয়নপত্র নেওয়ার বিধান জারি করা যায়৷ এ ব্যাপারে সফল দেশগুলো থেকে শিক্ষা নিতে হবে৷