খরগোশ-কচ্ছপ দিয়ে জগন্নাথের মঙ্গল শোভাযাত্রা
স্টাফ রিপোর্টার : খরগোশ-কচ্ছপের দৌড়ের কাহিনীকে কেন্দ্র করে বর্ষবরণ উৎসবের মঙ্গল শোভাযাত্রা করল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এই যাত্রায় মূল উপজীব্য ছিল সামাজিক অস্থিরতার বিরুদ্ধে অবস্থান।
বৃহস্পতিবার বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন সকাল সাড়ে ৯টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমানের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারের সামনে থেকে এই মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। বঙ্গাব্দ ১৪২৩ এর এই মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল আকর্ষণ ছিল ২৫ ফুট দৈর্ঘ্য, ১৬ ফুট প্রস্থ ও ১০ ফুট উঁচু একটি কচ্ছপ। সঙ্গে ছিল এক খরগোশ।
এ ছাড়া রঙ-বেরঙয়ের মুখোশে ফুটিয়ে তোলা হয় গ্রামীণ ঐতিহ্য। ঢোল আর বাঁশির সঙ্গে শোভাযাত্রায় চলে তারুণ্যের উল্লাস। পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার মোড়, তাঁতী বাজার মোড়, বংশাল, সুন্দরবন স্কয়ার, নবাবপুর রোড, বাহাদুর শাহ পার্ক ঘুরে ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয় এই শোভাযাত্রা।
গত তিনবছর ধরে পুরান ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে বৃহৎ পরিসরে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করে আসছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এবার পুরান ঢাকার এই ‘সাংস্কৃতিক বলয়ের’ পরিসর আরো বেড়েছে। এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রায় পুরান ঢাকাসহ ঢাকার ৮০টির বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংগঠনকে এই শোভাযাত্রায় জড়ো করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। সেই সঙ্গে ছিল পুরান ঢাকার উৎসবপ্রিয় হাজারো মানুষ।
উপাচার্য মীজানুর রহমান বলেন, ‘ধীরে চললে সহজেই বিজয় লাভ করা যায়। আর আমাদের তো প্রবাদই আছে যে, ধীরে চললে তাড়াতাড়ি লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়। সমাজে এখন যে পরিস্থিতি চলছে, যে অস্থিরতা চলছে, সেখানে আমরা এবারের বৈশাখে ধীরে চলার বার্তা দিতে চেয়েছি। সেজন্যই খরগোশ ও কচ্ছপকে বেছে নেওয়া হয়েছে।’
এদিকে বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান ভবন চত্বরে চলছে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ক্যাম্পাসের ভেতরে ও বাইরে বসানো হয়েছে বিভিন্ন স্টল। বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা মঞ্চস্থ করবে মহাকবি কালিদাসের ‘অভিজ্ঞান শকুন্তলম’। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুলে বুধবার শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা।