• মঙ্গলবার , ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

খতনায় আয়ান হত্যা-স্বাস্থ্যের তদন্ত আইওয়াশ


প্রকাশিত: ১০:০১ পিএম, ২৯ জানুয়ারী ২৪ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৯০ বার

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে ক্ষুদ্ধ: হাইকোর্ট-

 

কোর্ট রিপোর্টার : রাজধানীর বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খতনা করার সময় পাঁচ বছরের শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনকে ‘হাস্যকর’ বলে আখ্যা দিয়েছে হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আখ্যা দেন।

আদালত এই প্রতিবেদন দেখে তা ‘আইওয়াশ ছাড়া আর কিছু নয়’ বলেও মন্তব্য করেছেন। একইসঙ্গে শিশু আয়ানের মৃত্যু নিয়ে আদেশ দিতে ১১ ফেব্রুয়ারি দিতে ধার্য করা হয়েছে। আয়ানের ঘটনা তদন্ত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে প্রতিবেদন দিতে গত ১৪ জানুয়ারি নির্দেশ দেয়া হাইকোর্ট। তিনদিন দেরি করে রোববার আদালতে জমা দেয়া হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, আয়ান চাইল্ডহুড অ্যাজমা সমস্যায় ভুগছিল। শ্বাসকষ্টের জন্য আয়ানকে মাঝে মাঝে নেবুলাইজার ও ইনহেলার দেওয়া লাগত। সুন্নতে খৎনার অপারেশনের আগে ওয়েটিং রুমে তাকে নেবুলাইজার ও ইনহেলার দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়টি চিকিৎসকদের জানানো হয়নি।শিশু আয়ানের অপারেশনের সময় স্বাভাবিক রক্তপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

এদিকে আয়ানের পরিবারকে পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রুল জারি করে উচ্চ আদালত। পাঁচ বছর নয় মাস বয়সী আয়ানকে খতনা করাতে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার সাঁতারকুল এলাকার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে নিয়ে যায় তার পরিবার। অ্যানেসথেসিয়া দেয়ার পর আর জ্ঞান ফেরেনি তার। পরে তাকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। আট জানুয়ারি সেখানেই মৃত্যু হয় শিশুটির।

এরপর আয়ানের বাবা শামীম আহামেদ বাড্ডা থানায় মামলা করেন। এতে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট সাইদ সাব্বির আহমেদ, সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক তাসনুভা মাহজাবিন ও অজ্ঞাতনামা পরিচালকসহ কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

গত ৯ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম। গত ১৪ জানুয়ারি এই রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে সাত দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আদালতে প্রতিবেদন দেয়ার আদেশ দেন।