কড়া পাহারায় মন্ত্রী রাস্তার পাশে প্রস্রাব করায় তোলপাড়
এনডিটিভি অবলম্বনে ডেস্ক রিপোর্টার : ‘স্বচ্ছ ভারতের’ ডাক দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে প্রকাশ্যে শৌচকর্মের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে গোটা দেশজুড়ে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এইসব কর্মসূচিকে ঠিক কতোটা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেন মন্ত্রীরা, এবার উঠল সেই প্রশ্ন। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী রাধামোহন সিংহের প্রকাশ্যে প্রস্রাব করার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হতেই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ চলছে।
কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে মন্ত্রীমশাইয়ের লালবাতি লাগানো গাড়ি। একটি দেওয়ালের গায়ে প্রস্রাব করছেন রাধামোহন। অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে দাঁড়িয়ে তার সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষীরা। বৃহস্পতিবার নিজেদের টুইটার একাউন্টে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর এই জলবিয়োগের ছবি শেয়ার করেছে রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)। ক্যাপশনে লালু প্রসাদের দলের তরফে বিদ্রূপ করে লেখা হয়েছে, ‘কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে স্বচ্ছ ভারত অভিযানকে আরও এগিয়ে নিয়ে গেলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী। খরা বিধ্বস্ত রাজ্যে তিনি উদ্বোধন করলেন একটি সেচ প্রকল্পের।’
দেশটির সংবাদমাধ্যমের দাবি, ২০১৪’র ২৫ জুন বিহারের মোতিহারিতে মন্ত্রীর ওই ছবিটি তোলা হয়েছে। আরজেডি দাবি করছে অতো পুরনো নয় ছবিটি। তবে রাস্তায় প্রস্রাবের পাশাপাশি গাড়ির মাথায় লালবাতি ব্যবহার করেও বিতর্কের মুখে পড়েছেন রাধামোহন। গত ১ মে থেকে ভিআইপিদের গাড়ির মাথায় লালবাতির ব্যবহার নিষিদ্ধ। এই ভিআইপি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সরব স্বয়ং মোদী। ফলে রাধামোহনের এই জোড়া ‘কীর্তি’তে দিকে দিকে নিন্দার ঝড় বইছে। ব্যাপক চাপে পড়েছে মোদী সরকার।
শৌচাগার নির্মাণে এমনিতেই পিছিয়ে বিহার। রাধামোহনের কাণ্ড সেই সমস্যাকেই আরও প্রকটভাবে সামনে নিয়ে এল। অনেকেই বিষয়টিকে সেই সমস্যার প্রেক্ষাপটেই দেখছেন। তাদের মতে, রাস্তায় শৌচাগারের অভাবেই মন্ত্রীমশাইকে প্রকাশ্যে জলবিয়োগের কাজটি করতে হয়েছে। যে সমস্যাকে সামনে রেখে মোদীর স্বচ্ছ ভারত অভিযানকে বিঁধেছেন বিহারের কংগ্রেস নেতারা। তাদের বক্তব্য, জাতীয় সড়কের পাশে যত শৌচাগার থাকা উচিত, বিহারে তা নেই। কংগ্রেস নেতাদের কটাক্ষ, এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, স্বচ্ছ ভারত অভিযান নিয়ে যতটা প্রচার হচ্ছে, কাজ ততটা হচ্ছে না। তারই ফল ভুগতে হলো কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীকে।