• বৃহস্পতিবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

ক্ষেপে আগুন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা


প্রকাশিত: ৩:৩৯ পিএম, ১৪ মে ১৯ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৪৯ বার

ঢাবি প্রতিনিধি : ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা ক্ষেপে আগুন অবস্থায় বিচরণ করছেন ঢাবিতে। পদবঞ্চিতরা ৪৮ ঘণ্টা’র আলটিমেটাম দিয়েছেন। এর মধ্যে সমাধান না করলে বৃহত্তর আন্দোলন এর হুমকি দিয়েছেন তারা। এর আগে গত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা নিয়ে দুই পক্ষে তুমুল হট্টগোলের মধ্যে একপর্যায়ে চেয়ার ছুড়ে মারামারি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠনের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছেন পদবঞ্চিতরা বলেছে,এই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে তাঁরা অনশন ও সংগঠন থেকে গণপদত্যাগের মতো কর্মসূচি পালন করবেন।

আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন করে এই আল্টিমেটাম দেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা। নতুন কমিটিতে পদ না পাওয়া বা কাঙ্ক্ষিত পদ না পাওয়া ছাত্রলীগের প্রায় দুই শতাধিক নেতা-কর্মী এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্রলীগের বিগত কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাইফ বাবু। লিখিত বক্তব্যে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিটি পুনর্গঠনে সময় বেঁধে দেওয়া হয়।

ছাত্রলীগের শামসুন্নাহার হল শাখার সভাপতি নিপু তন্বী বলেন, দাবি পূরণ না হলে তাঁরা অনশন, গণপদত্যাগের মতো কর্মসূচি পালন করবেন। গত বছরের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের প্রায় আড়াই মাস পর ৩১ জুলাই রেজওয়ানুল হক চৌধুরীকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রীয় কমিটির অন্য পদগুলো ছিল ফাঁকা। গতকাল সোমবার বিকেলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। তাতে দেখা যায়, ছাত্রলীগের গত কেন্দ্রীয় কমিটিতে বিভিন্ন পদে থাকা বেশ কয়েকজন এবার কমিটিতে জায়গা পাননি। আবার অনেকে পদ পেলেও তা তাঁদের মনঃপূত হয়নি। এ নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।

কমিটিতে পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া ব্যক্তিরা গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়। কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা এই হামলা করেন। এ ঘটনায় নারী নেত্রীসহ ১০ থেকে ১২ জন আহত হন। হামলার ঘটনার আহত ব্যক্তিদের দেখতে গতকাল রাত পৌনে ১১টার দিকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। এ সময় উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তাঁরা বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে থাকেন। তোপের মুখে কেন্দ্রীয় এই দুই নেতা সেখান থেকে ফিরে যান।