• শুক্রবার , ২২ নভেম্বর ২০২৪

ক্রেজী ছাত্রদের ছাত্রী উত্যক্ত-বন্ধ হলো ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ


প্রকাশিত: ৬:৪৭ পিএম, ২৩ জানুয়ারী ১৭ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৮৮ বার

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি  :  এম-৫৩ ব্যাচের এক ছাত্রীকে উক্ত্যক্ত করার জের ধরে এম-৫০ ব্যাচের এক mymensingh_medical_college-www.jatirkhantha.com.bdছাত্রকে মারধরের ঘটনায় সংঘাত এড়াতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে কলেজ কৃর্তৃপক্ষ।

সোমবার বিকালে কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানান একাডেমিক কাউন্সিলের সভাপতি কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর আনোয়ার হোসেন ও উপাধ্যক্ষ ডা. ফজলুল হক পাঠান।

এদিকে মারধরের ঘটনায় এম-৫৩ ব্যাচের ছাত্র অনুপম দত্ত অর্ঘ, হিমেল এবং এম-৫১ ব্যাচের সিয়ামকে এক বছরের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে। এনিয়ে দুই ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন রয়েছে।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, এম-৫৩ ব্যাচের এক ছাত্রীর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ও বন্ধুত্বু ছিল একই ব্যাচের ছাত্র অনুপম দত্ত অর্ঘ, হিমেল ও এম-৫১ ব্যাচের সিয়ামসহ কয়েকজনের।

ওই ছাত্রীকে প্রায়ই উক্ত্যক্ত ও গালমন্দ করতো এম-৫০ ব্যাচের ছাত্র শহীদুল ইসলাম। এনিয়ে গত বুধবার রাতে বাঘমারা মেডিকেল হোস্টেলে সিনিয়র ছাত্র শহীদের সঙ্গে এম-৫৩ ব্যাচের ছাত্রদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে অনুপম দত্ত অর্ঘ, হিমেল ও এম-৫১ ব্যাচের সিয়ামসহ কয়েকজন শহীদকে মারধর করেন।

ঘটনার প্রতিবাদে শহীদসহ এম-৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। পরে বিষয়টি কলেজ অধ্যক্ষকে অবহিত করা হলে রাতেই কার্ডিওলজি বিভাগের প্রফেসর ডা. সাইফুল বারীকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

এদিকে সহপাঠী ওই ছাত্রীকে অপমান, কটূক্তি ও উক্ত্যক্ত করার জেরে এম-৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা সোমবার সকাল থেকে আন্দোলনের নামার ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

একপর্যায়ে দুই গ্রুপই মারমুখী অবস্থানে চলে যায়। সংঘর্ষ এড়াতে কর্তৃপক্ষ একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভা ডেকে কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এছাড়া সিনিয়র ছাত্র এম-৫০ ব্যাচের শহীদকে মারধরের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্ত তিন ছাত্রকে এক বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

একাডেমিক কাউন্সিলের সভাপতি ও কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর আনোয়ার হোসেন জানান, দুটি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. ফজলুল হক পাঠান জানান, জুনিয়র শিক্ষার্থীরা কলেজের পঞ্চম বর্ষের ছাত্র শহীদকে লাঞ্ছিত করায় একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিন তিনজকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি জানান, উত্তেজনা এড়াতে কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আবাসকি শিক্ষার্থীদের সন্ধ্যার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থীরা হলে থাকবে।