• বুধবার , ২০ নভেম্বর ২০২৪

ক্রিকেট জুয়ায় এবার ধোনি জড়িত-তোলপাড়


প্রকাশিত: ৬:৪৭ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারি ১৬ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৪ বার

টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে আসমা খন্দকার ; ক্রিকেট জুয়ায় এবার ধোনি জড়িত-তোলপাড় চলছে।কোণঠাসা ধোনির বিরুদ্ধে এবার উঠেছে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ—।প্রবাদ আছে হাতি গ1111র্তে পড়লে পিঁপড়াও লাথি মারে—এমনটাই এখন ভাবতে পারেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। এমনিতেই ভারতীয় দলে ধোনি কেন, ইদানীং এ প্রশ্ন শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হওয়ার দশা।

তাঁর বিরুদ্ধে এবার উঠল ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ, তাও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। মনে হতে পারে, এই অভিযোগ, ভারতীয় দলে তাঁর অবস্থা নাজুক করার একটি ষড়যন্ত্র। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন দলের সাবেক এক ম্যানেজারই।

২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফর নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। দিল্লির দৈনিক সান স্টার ম্যাচ পাতানো নিয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদন করেছে। সেখানেই ধোনির দিকে আঙুল তুললেন ওই সফরে ভারতীয় দলের ম্যানেজার সুনীল দেব। সে সফরের ম্যানচেস্টার টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন ধোনি।

অথচ ম্যাচ শুরুর আগে মেঘলা আবহাওয়া ও পেস বান্ধব উইকেট দেখে সবাই মিলে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু মাঠে নেমে সবাইকে অবাক করে ব্যাটিং বেছে নেন ভারত অধিনায়ক। তার ফলও পেয়েছে ভারত, মাত্র ৪৬.৪ ওভারে ১৫২ রানে শেষ হয় তাদের প্রথম ইনিংস। ম্যাচও হারে ইনিংস ও ৫৪ রানে।

সুনীলের দাবি শুধু ওল্ড ট্রাফোর্ডের ম্যাচেই ধোনির সিদ্ধান্ত প্রশ্নবিদ্ধ ছিল এমন নয়, ওই সফরের বেশ কিছু ম্যাচেই এমন রহস্যময় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’। এই সংগঠকের আরও দাবি, তাঁর এমন সন্দেহ সঙ্গে সঙ্গেই জানিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসিআই)।

তৎকালীন বোর্ড সভাপতি এন শ্রীনিবাসন নাকি এ ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। শ্রীনিবাসন নাকি ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে ধন্যবাদও দিয়েছেন তাঁকে এ বিষয়ে অবগত করার জন্য। কিন্তু বোর্ড এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
কিন্তু এত দিন এ তথ্য গোপন রেখেছেন কেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে সুনীল আত্মপক্ষ সমর্থন করলেন, ‘কারণ কেউ আমার কথা বিশ্বাস করত না এবং আমি প্রাণের ভয়ে এ কথাগুলো আগে বলিনি।’ তাহলে এত দিন পরে কেনই বা সবাইকে জানানো? উত্তরে বোর্ডের নিরুদ্বেগ থাকা এবং এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ না দেখানোকে কারণ দেখিয়েছেন সুনীল।

তবে আইপিএলের স্পট ফিক্সিং নিয়ে কাজ করা বিচারক মুকুল মুডগাল সুনীলের এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর ভাষায়, সঠিক প্রমাণাদি না থাকলে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ তোলা সম্ভব নয়।

মজার ব্যাপার, সুনীল বর্তমানে দিল্লি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন সচিব। তাই সান স্টার—এর প্রতিবেদকের কাছে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ তোলার পর আবার সতর্ক করে দিয়েছেন, যদি স্রোত বিপরীত দিকে যায় তবে তিনি বোর্ডের পক্ষেই সাফাই গাইবে।