• শনিবার , ১৬ নভেম্বর ২০২৪

‘ক্রান্তিকালে রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করে আদালত’


প্রকাশিত: ১:৫৯ পিএম, ১৫ আগস্ট ১৬ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭২ বার

 

হাইকোর্ট রিপোর্টার : প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, ক্রান্তিকালে রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু হত্যার Highcort-justic-Sinha-www.jatirkhantha.com.bdবিচার করে আদালত। এতে প্রমাণ হয় ক্রান্তিকালে পিছপা হয়নি বিচার বিভাগ, ভবিষ্যতেও হবে না। প্রথমবারের মতো সুপ্রিম কোর্টের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।

আজ সোমবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও বৃক্ষরোপণের এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তিনি বলেন, কতিপয় বিপথগামী সেনা সদস্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদেরকে এই দিনে নির্মমভাবে হত্যা করে। কিন্তু তৎকালীন সরকার হত্যাকারীদের বিচারের পথ বন্ধ করে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি ও খুনিদের পুরস্কৃত করেন।

তিনি বলেন, দেশের বিচার বিভাগ এই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে বিচারের পথ প্রশস্ত করে। শুধু বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলাই নয়; জেলহত্যা মামলার জন্য সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী, অষ্টম সংশোধনী এবং ত্রয়োদশ সংশোধনী সুপ্রিম কোর্ট বাতিল ঘোষণা করে। সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া এসব রায়ই প্রমাণ করে, বিচার বিভাগ দেশের ক্রান্তিলগ্নে কখনই পিছপা হয়নি। যখনই কোনো অন্যায় দেখেছে সেখানেই হস্তক্ষেপ করেছে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের মধ্যে বিচার বিভাগকে যথাযথ মর্যাদা ও স্বীকৃতি দিতে অনেকেই পিছপা হতেন। নির্বাহী বিভাগ ও জাতীয় সংসদের পাশাপাশি বিচার বিভাগও যে রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সেটি প্রকাশ করা আমাদের (বিচারপতিদের) কর্তব্য। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর দেশের অধিকাংশ লোকই এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করার নৈতিক সাহস হারিয়ে ফেলেছিলেন। দেশবাসী কল্পনাও করতে পারেননি, যে তাকে এভাবে হত্যা করা হবে।

তিনি বলেন, সিনিয়র বিচারপতিরা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করায় বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ সুগম হয়েছিল। একজন জেলা জজ রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নিম্ন আদালতে এই মামলার রায় দিয়েছিলেন। এরপর হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স নিষ্পত্তি করতে নানা প্রতিকূলতা ছিল। মামলাটি কার্যতালিকায় আনা ও বেঞ্চ গঠন নিয়ে নানা নাটকীয় ঘটনা ঘটে।

এ ধরনের একটি ঘটনা নিয়ে বিচারকরা জাজেজ লাউঞ্জে কনফাইন্ড (বন্দি) ছিলেন। এরপর হাইকোর্ট ডেথ রেফারেন্স নিষ্পত্তি করে এবং মামলাটি আপিল বিভাগে আসে। এরপর আপিল বিভাগ মামলাটি চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করেন। আপিল বিভাগের ওই বেঞ্চের একজন বিচারক হিসেবে এই মামলায় অংশ নিতে পেরে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি।

অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার জাকির হোসেন, হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার সৈয়দ আবু দিলজার হোসেন, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) সাব্বির ফয়েজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগ ও রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।