ক্যান্টনমেন্টে ‘লগ এরিয়ায়’ অন্তরীণ র্যাবের সেই তিন কর্মকর্তা
বিশেষ প্রতিনিধি: ঢাকা ১০ মে ২০১৪: নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অবসরে পাঠানো তিন র্যাব কর্মকর্তাকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে ‘লগ এরিয়ায়’ অন্তরীণ করা হয়েছে।
অন্তরীণ অবস্থায় তারা মোবাইল ফোন, টেলিফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন না। শুধু অনুমতি সাপেক্ষে স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন।
জানা গেছে, খুনের অভিযোগের বিষয়ে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে বুধবার রাতে তাদের ক্যান্টনমেন্টে লগ এরিয়ায় অন্তরীণ করা হয়েছে। অন্তরীণ র্যাব কর্মকর্তারা হলেন ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জামাতা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মাদ এবং মেজর আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার এম এম রানা।
এর আগে গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সশস্ত্র বাহিনীর এই তিন কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠানো হয়।
সশস্ত্র বাহিনীর তিন কর্মকর্তার মধ্যে সেনা কর্মকর্তা তারেক অধিনায়ক ও সেনা কর্মকর্তা আরিফ র্যাব-১১-এর কর্মকর্তা ছিলেন। খুনের অভিযোগ ওঠায় সেনাবাহিনী দুজনকে অকালীন অবসরে পাঠিয়েছে। আর নারায়ণগঞ্জ র্যাবের প্রধান নৌবাহিনীর লে. কমান্ডার এম এম রানাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
গত ২৭ এপ্রিল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন। এর তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয়জনের লাশ এবং তার পরদিন ভেসে ওঠে ওপরজনের লাশ।
এ তিন র্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও গডফাদার নূর হোসেনের কাছ থেকে ছয় কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে ওই সাতজনকে অপহরণ করে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। এমন অভিযোগের পর সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী ত্বরিত ব্যবস্থা হিসেবে এ তিনজনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়।